ঠাকুরগাঁওয়ে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত
কয়েক দিনের টানা বর্ষণ আর উজানের ঢলে ঠাকুরগাঁওয়ে আরও নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পানি ওঠায় বাড়িঘর ছেড়ে কয়েক হাজার মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। এছাড়া সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছেন।
ঠাকুরগাঁওয়ে মওসুমি বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বালিয়াডাঙ্গী, পীরগঞ্জ, রানীশংকৈল ও হরিপুর উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকায় নতুন নতুন এলাকায় বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে। ওইসব এলাকার আরও প্রায় ১০টি গ্রামের মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে পীরগঞ্জ রানীশংকৈল ও বালিয়াডাঙ্গী এলাকার বিভিন্ন স্কুল কলেজে আশ্রয় নিয়েছে সাধারণ মানুষ।
শনিবার বিকালে রংপুর থেকে সেনাবাহিনীর একটি দল পানিবন্দি লেকজনকে উদ্ধার করে বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে পাঠায়। রবিবার ভোররাতে ঘরে পানি উঠায় বন্যায় ভয়ে জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার নিয়ামত গ্রামে রেহেনা পারভিন নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে হরিপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী নাগর নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় মানিকখাড়ি এলাকায় বাংলাদেশ ভূখণ্ড রক্ষা বাঁধের উপর দিয়ে তা প্রবাহিত হচ্ছে। হরিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম জে আরিফ বেগ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন।
রেলপথে পানি ওঠায় রবিবারও ঠাকুরগাঁওয়ের সাথে সারা দেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ ছিল। ঠাকুরগাঁও রেল স্টেশন ম্যানেজার মনসুর আলী জানান, লালমনিরহাট ও রাজশাহী থেকে রেলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থর পরিদর্শন করেছেন। আপাতত কমপক্ষে ৭/৮ দিন ঠাকুরগাঁও থেকে কোনো ট্রেন চলাচল করবে না বলে জানান তিনি।
আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে কমপক্ষে ১০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। তাদের সরকারিভাবে শুকনা খাবার চিড়া মুড়ি বিস্কুট গুড়, পাওরুটি, মোমবাতি ইত্যাদি সরবরাহ করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসক আব্দুল আওয়াল নিজে পানিবন্দিদের খোঁজ খবর নিচ্ছেন।
(ঢাকাটাইমস/১৩আগস্ট/প্রতিনিধি/জেবি)