রাঙ্গামাটিতে স্কুলছাত্রী ধর্ষণ: দোষীর শাস্তি দাবি

রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৭ আগস্ট ২০১৭, ১৭:৫৫

রাঙ্গামাটির নানিয়াচর উপজেলার ঘিলাছড়ি ইউনিয়নে ঘিলাছড়ি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণ ও ধর্ষণের ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার প্রতিবাদ ও দোষী ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে শাস্তির দেয়ার দাবিতে ভুক্তভাগী ছাত্রীর সহপাঠী, বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক-কর্মচারীরা মানববন্ধন করেছেন।

রবিবার সকালে ঘিলাছড়ি বাজারে ঘিলাছড়ি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকদের করা এ মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা।

এ সময় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা বলেন, ঘিলাছড়ি বাজারের মো. সরুজ জামান ঘিলাছড়ি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণি পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করে ও ছবি তোলে। এ ঘটনাটি কাউকে না বলার জন্য ভয় দেখায় সরুজ জামান।

ঘটনার কিছুদিন পরে ওই স্কুলছাত্রীকে বিয়ের প্রস্তাব দেয় সরুজ জামান। ছাত্রীটি এ প্রস্তাবে রাজি না হলে ধর্ষণের ছবি গত ২২ জুলাই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছেড়ে দেয়। এটি এলাকায় জানাজানি হলে ছাত্রীটি বিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ করে দেয়।

ভুক্তভোগী ছাত্রীর আত্মীয় কুলসুম বেগম বলেন, এই ঘটনায় থানায় অভিযোগ দেয়া হলেও মামলা নেয়া হয়নি। পরে গত ২২ আগস্ট রাঙামাটি চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করা হয়। এরপর থেকে আমাদেরকে মামলা প্রত্যাহার করতে বিভিন্নভাবে চাপ দিতে থাকে সরুজ জামান। প্রত্যাহার না করায় বিভিন্ন হুমকি দিচ্ছে।

এ অবস্থায় গত ২৪ আগস্ট মামলার বাদী ও সাক্ষী দানু মিয়া সওদাগরের বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা করেন সরুজ জামান।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সরুজ জামান প্রথমে মোবাইলে এক স্যারের কাছে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলা ও ছবি তুলতে দেয়ার অনুমতি চান। এরপর বলেন, আমি বর্তমানে নানিয়াচর থানা যুবলীগের একজন সদস্য। আগে এখানে যুবলীগের সভাপতি ছিলাম। পদত্যাগ করেছি।

তার বিরুদ্ধে মানববন্ধন হয়েছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এরা খারাপ কাজ করে। এসব আমি জানি তো। এর প্রমাণও আমার আছে। যদি প্রমাণ চান, তাও আমি দিতে পারব। আমি তাদের অপকর্ম সব জানি। আমার কারণে তাদের ইনকাম বন্ধ হয়ে গেছে। তো সেজন্য তারা আমার নামে অভিযোগ দিচ্ছে। আমার বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার পর আমিও তাদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছি।

বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শফিকুর রহমান, অভিযুক্ত সরুজ জামানের বিরুদ্ধে কোন আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। মামলার পরও আমি সকালেও দেখেছি সে ঘিলাছড়ি বাজারে ঘুরছে।

ঘিলাছড়ি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পরিমল চাকমা বলে ফেইসবুকে ছড়িয়ে দেয়ার পর জানাজানি হলে ছাত্রীটি বিদ্যালয়ে আসা বন্ধ করে দিয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/২৭আগস্ট/প্রতিনিধি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :