রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ব্র্যাকের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

মোসলেহ উদ্দিন, উখিয়া (কক্সবাজার)
 | প্রকাশিত : ২৯ অক্টোবর ২০১৭, ০৮:১৮

উখিয়ার বিভিন্ন ক্যাম্পে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে বিশুদ্ধ পানি ও স্যানিটেশনের জন্য নলকূপ ও ল্যাট্রিন নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের বিরুদ্ধে। যেভাবে নলকূপ ও ল্যাট্রিন নির্মাণ করা হচ্ছে তা স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আন্তর্জাতিক অভিবাসন (আইওএম), ইউনিসেফ, ডব্লি¬উএফপি, গে¬াবাল ফান্ডের আর্থিক সহযোগিতায় তিন কোটি ৮৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ব্র্যাকের মাধ্যমে এ কর্মসূচি বাস্তবায়নাধীন। ব্র্যাক উখিয়া-টেকনাফে ১২টি অস্থায়ী ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের জন্য সুপেয় পানি ও স্বাস্থ্যসম্মত স্যনিটেশনের কাজ করছে।

ব্র্যাক ওয়াশ কর্মসূচির উখিয়া উপজেলা ম্যানেজার ফারহান জানান, উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ৬ হাজার ৩৬৬টি ল্যাট্রিন এবং ১ হাজার ৪০টি টিউবওয়েল স্থাপনের কাজ করছে ব্র্যাক। প্রতিটি ল্যাট্রিনে ব্যয় ধরা হয়েছে সাড়ে ৫ হাজার টাকা, টিউবওয়েলে ১৪ হাজার টাকা। জরুরি মুহূর্তে সংস্থার নিয়ম অনুসারে সঠিকভাবেই এগুলো স্থাপন করা হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি।

কিন্তু স্থানীয় নাগরিক সমাজের অভিযোগ, দায়সারাভাবে কাজ শেষ করছে ব্র্যাক। ফলে কয়েক দিন যেতে না যেতেই নলকূপে পানি উঠছে না। অকেজো অবস্থায় পড়ে রয়েছে অনেক নলকূপ।

অভিযোগ করা হচ্ছে, চারটি রিং দিয়ে ল্যাট্রিন স্থাপনের কথা থাকলেও ব্যবহার করা হচ্ছে দুটি। টিউবওয়েলের পাইপ বসানো হচ্ছে ২০-২৫ ফুটের মধ্যে, যা ৪০ ফুট গভীরে বসানোর কথা।

নলকূপ ও ল্যাট্রিনের মধ্যে ১০০ ফুট দূরত্ব রাখার নিয়মও লঙ্ঘন করা হচ্ছে। পর্যাপ্ত দূরত্ব না রেখে পাশাপাশি স্থাপন করার কারণে পয়োবর্জ্য উপছে পড়ছে, আর তাতে দুর্গন্ধে পথচারীদের চলাফেরায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

ক্যাম্পের সূত্রমতে, আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম), ইউনিসেফ, ডব্লি¬উএফপি, গ্লোবাল ফান্ডের আর্থিক সহযোগিতায় প্রায় ৩ কোটি ৮৪ লাখ টাকা ব্যয় বরাদ্দের এ কর্মসূচি বাস্তবায়নে ব্র্যাকের কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। অদক্ষ ঠিকাদারের মাধ্যমে টিউবওয়েল ও ল্যাট্রিন স্থাপন করছে সংস্থাটি।

ক্যাম্পে চলতি দায়িত্বরত বান্দরবানের (জনস্বাস্থ্য) নির্বাহী প্রকৗশলী মো. সোহরাব হোসেন বলেন, ব্র্যাক সংস্থা যেসব টিউবওয়েল ও ল্যাট্রিন স্থাপন করেছে তা অনিরাপদ। দুই রিংয়ের ল্যাট্রিন খুবই বিপজ্জনক। ল্যাট্রিনের পাশে ১৫ ফুটের মধ্যে টিউবওয়েল স্থাপন স্বাস্থ্যহানির ঝুঁকি রয়েছে।

তাছাড়া একই জায়গায় ল্যাট্রিন ও টিউবওয়েল স্থাপন করলে ল্যাট্রিনের জমানো মল থেকে ফিকেল কলিফরম নামের এক ধরনের জীবাণু পানির সঙ্গে মিশে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। এসব টিউবওয়েলের পানি পান করলে পানিবাহিত নানা রোগে আক্রান্ত হতে পারে মানুষ।

১৬ সেপ্টেম্বর সেনাবাহিনীর একটি তদারিক দল উখিয়ার কুতুপালং বালুখালীসহ কয়েকটি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ব্র্যাকের বসানো ল্যান্ট্রিনের কাজে অনিয়ম দেখে কোনো কাজে অনিয়ম সহ্য করা হবে না বলে জানিয়ে দেন।

খোদ জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সোহরাব হোসেন ব্র্যাকের করা টিউবওয়েল ও ল্যাটি্েরনর কাজে অসন্তোষ প্রকাশ করেন।

(ঢাকাটাইমস/২৯অক্টোবর/মোআ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

জাতীয় এর সর্বশেষ

‘স্বপ্নজয়ী মা’ সম্মাননা পেলেন ১১ জন

হিন্দাল শারক্বীয়ার তিন সদস্য গ্রেপ্তার, নিখোঁজরা কি আছে এই তালিকায়?

লু’র সফরে ভিসানীতি ও র‍্যাবের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আলোচনা হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

কুতুবদিয়ায় নোঙর করেছে এমভি আবদুল্লাহ

আসন্ন বাজেটে সামাজিক সুরক্ষায় উপকারভোগীর সংখ্যা বাড়ছে: অর্থ প্রতিমন্ত্রী

বলিপাড়া-রুমা সীমান্ত পরিদর্শন করলেন বিজিবি মহাপরিচালক

দেশে বজ্রপাত নিরোধযন্ত্র স্থাপনে সহায়তা করতে চায় ফ্রান্স

যুক্তরাষ্ট্র সফরে গেলেন সেনাপ্রধান

অটিজম সম্পর্কে সমাজের সবাইকে সচেতন করতে হবে: স্পিকার

‘নারী কর্মীদের বিদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিতে কাজ করবে মন্ত্রণালয়’ 

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :