প্রাক্তন প্রেমিক-প্রেমিকাদের উপহার বিক্রি হয় এখানে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০৭ নভেম্বর ২০১৭, ১৭:৫৬ | প্রকাশিত : ০৬ নভেম্বর ২০১৭, ২১:৩৪

প্রেম-বিচ্ছেদ একে অপরের হাত ধরাধরি করে আসে। মুহূর্তের মধ্যে হৃদয় ভেঙে খান খান। অনেকেই এই আঘাত সহ্য করতে পারেন না। তাদের মন ভালো করার ওষুধ হতে পারে ভিয়েতনামের এই বাজার। আর এই বাজারে বিক্রি পণ্য প্রাক্তন প্রেমিক-প্রেমিকা থেকে পাওয়া উপহার। এই যেমন পারফিউম, বই, শোপিস। অতীতকে ভুলতে এখানকার বিক্রেতাদের মনোভাব যেন, যাক যা গেছেই তা যাক।

ভিয়েতনামের ওল্ড ফ্লেমস মার্কেটে এখন দুনিয়ার কাছে আলোচনার বিষয়। ২৯ বছর বয়সী ফুক থুই এমন এক ভগ্ন হৃদয়ের যুবক।

তার কথায়, ‘ সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ার পর আমি খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিলাম। কিন্তু পরে বুঝতে পারি অতীত অতীতই। তা নিয়ে পড়ে থাকলে চলে না।’ পুরনোকে ভুলতে ফুকে প্রাক্তন প্রেমিকার থেকে পাওয়া জামা, মানিব্যাগ এমনকী টুথপেস্টও বিক্রি করতে এসেছেন।

গত ফেব্রুয়ারিতে এই বাজার চালু হওয়ার পর বিক্রি জমে উঠেছে। ক্রেতারা তাদের প্রয়োজনীয় সামগ্রী এই বিশেষ বাজার থেকে পেয়ে যাচ্ছে। কেউ হয়তো এখান থেকেই মনের মানুষের জন্য কিছু জমিয়ে রাখছে। সাধারণের এমন আগ্রহ দেখে বেজায় খুশি বাজারটির প্রতিষ্ঠাতা ডিং থ্যাং। গিটারে সুর তুলেছিলেন এই যুবক।

তার কথায়, ‘বর্তমান প্রজন্ম অনেক বড় হৃদয়ের। নিজেদের সুখ-দুঃখের কথা চেপে রাখে না। এভাবে তাদের যন্ত্রণা ভোলার রাস্তা মিলেছে।’

এমন বিকিকিনির আসর বসানোর পরিকল্পনা ডিংয়ের। নিজে ব্রেক-আপের ধাক্কা খেয়েছেন। বোঝেন অন্যদের মানসিক অবস্থা।

ডিং বলছেন, হীনমন্যতা কাটিয়ে গর্বের সঙ্গে প্রেমিকাকে দেয়া চিঠি সামনে আনেন এখানকার ছেলেরা। তারা বুঝেছে এগুলো যন্ত্রণার স্মারক নয়, এর ব্যবহারিক মূল্য অনেকটাই। এমন সাড়া বুঝে আগামী বছর ভিয়েতনামের রাজধানী হো চি মিন শহর এ ধরনের বাজার বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে তার।

এই বিপণিতে চিঠি লেখারও ব্যবস্থা রয়েছে। অবশ্যই সেটি প্রাক্তনের উদ্দেশ্যে নয়। সেখানে একজন লিখে যান, সে প্রেমিকাদের জন্য দুঃখিত। কারণ সে বুঝতে পেরেছি তারা একে অপরকে চিনতে পারিনি। অন্য একজন লেখেন আমি বেশ আছি। সম্পর্কের দাঁড়ি পড়ে যাওয়া থেকে যে একটা ট্যাবু রয়েছে তা খানিকটা ভেঙেছে। কয়েক দশক আগে পর্যন্ত কমিউনিস্ট শাসিত দেশটি সম্বন্ধ করে বিয়েও ছিল প্রচুর। তবে সময় বদলের সঙ্গে প্রেমেই ভরসা রাখছে নতুন প্রজন্ম। ডেটিংয়ের জোর দিচ্ছে। সমান তালে হচ্ছে ভাঙন।

বুই মান টিয়েন নামে জাতিসংঘের এক কর্মী বলছেন এখন অনলাইনে প্রেম, ডেটিংয়ের যুগ। তাই সম্পর্ক ভেঙেও যাচ্ছে। বিয়ের আগে বিবাহপরবর্তী জীবনের স্বাদ পেতে চাইছেন অনেকে। তার ফলে এমন ছন্দপতন।

সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন

(ঢাকাটাইমস/৬নভেম্বর/এসআই)

সংবাদটি শেয়ার করুন

আন্তর্জাতিক বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

আন্তর্জাতিক এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :