এক বছরেও সংস্কার হয়নি সেতুটির

মো.শাখাওয়াত হোসেন সজল, সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ)
| আপডেট : ১০ নভেম্বর ২০১৭, ১৫:৫৩ | প্রকাশিত : ১০ নভেম্বর ২০১৭, ১৫:৫১

মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার বাসাইল ইউনিয়নে ইছামতি শাখা নদীর উপর পাকা সেতুটির অর্ধেকের বেশি ভেঙে বিলীন হয়ে গেছে। বাকি অংশটুকুও জরাজীর্ণ। এই খণ্ডাংশ সেতুর সঙ্গে বাঁশ বেঁধে আর নদীতে খুঁটি পুঁতে ব্যবস্থা করা হয়েছে সেতু সাঁকো।

এই পঙ্গু সেতু দিয়ে প্রায় ১৫ গ্রামের মানুষ ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছেন দীর্ঘদিন ধরে। কিন্তু কর্তৃপক্ষের কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সেতুটি ভেঙে যাওয়ার পর এলাকার তরুণরা বাসাইল ইউনিয়ন পরিষদের কিছু সাহায্য আর নিজেদের টাকায় কেনা বাঁশ আর কাঠ দিয়ে কোনো রকম চলাচলের ব্যবস্থা করেছেন। ইমামগঞ্জ, টোলবাসাইল, গুয়াখোলা, উত্তর রাঙ্গামালিয়া, পাথরঘাটা, রামকৃষ্ণদী, সতুরচর, দক্ষিণ রাঙ্গামালিয়া, ডাকাতিয়াপাড়া, গিরিধারীগঞ্জ, শিকদারপাড়াসহ আশপাশের ১৫ গ্রামের মানুষ এই সেতু দিয়ে পারাপার হয়। ভৌগোলিক কারণে তাই সেতুটি খুবই গুরুতপূর্ণ।

এলাকাবাসীরা জানায়, ইছামতি শাখানদীর ওপর ১৯৯০ সালে নির্মিত সেতুটি ভেঙে গেছে প্রায় এক বছর আগে। টোলবাসাইল গ্রামের সড়কের বাসাইল উচ্চ বিদ্যালয়ের পশ্চিম দিকে বাজারের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে ইছামতির শাখা নদীটি। বাজারের কাছেই নির্মিত হয় সেতুটি।

বাসাইল ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো.আইয়ুব খান জানান, ১২ আগস্ট রাতে সেতুটির মাঝের অংশে বালুবাহী বলগেটের ধাক্কা লেগে সেতুর পশ্চিম পাশের অংশ ভেঙে নদীতে পড়ে যায়। এ সময় সেতুর উপরে থাকা দুই পথচারী আহত হন। সেতুটি ভেঙে পড়ার পর বাঁশ ও কাঠ দিয়ে শুধু যাতায়াতের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

সেতু দিয়ে কোনো রকমে মানুষ পার হতে পারলেও কোনো ভারী জিনিস নিয়ে সেতু পার হওয়া যায় না। তখন ১০-১২ কিলোমিটার ঘুরে পার হতে হয় ইছামতি নদী।

এলাকার ছেলেরা ও ইউনিয়ন পরিষদ মিলে ভাঙা সেতুর অংশে বাঁশ-কাঠের পাটাতন দিলেও তা নড়বড়ে। ভোগান্তি নিরসনে দ্রুত সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।

এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী সোয়েব বিন আজম বলেন, এক মাসের মধ্যে সেতুটি নিলামে ভেঙে সেতুর উপরে বেইল বসানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/১০নভেম্বর/প্রতিনিধি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :