এসিসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির প্রমাণ পায়নি পুলিশ

আদালত প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৬ নভেম্বর ২০১৭, ২০:৫২

রাজধানীর ডেমরা জোনের সহকারি পুলিশ কমিশনার (এসি) ইফতেখারুল ইসলামসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির প্রমাণ পায়নি পুলিশ।

বৃহস্পতিবার পুলিশের ওয়ারি জোনের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. ফরিদ এই মর্মে আদালতে প্রতিবেদন দিয়েছেন।

ঢাকা মহানগর হাকিম রায়হান উল ইসলামের আদালতে এদিন ওই প্রতিবেদন গ্রহণের বিষয়ে শুনানির হয়। শুনানির সময় বাদিনী নারাজি দাখিল করবেন মর্মে সময় প্রার্থনা করলে আদালত আগামী ২৬ নভেম্বর নারাজি দাখিলের তারিখ ঠিক করেন।

এর আগে গত ১২ জুলাই মিসেস শাহনা আক্তার নামে এক নারী এ মামলা করলে আদালত তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল।

মামলার অপর আসামিরা হলেন- যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (প্রশাসন) আনিসুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) তোফায়েল আহমেদ, এসআই জাকির হোসেন, ওমর ফারুক, কবির হোসেন উকিল, শাহীন পারভেজ, লক্ষীকান্ত রায়, শহীদুল্লাহ, কেএম এনায়েত হোসেন, এএসআই আতোয়ার রহমান, কনস্টেবল সাইফুল, পুলিশের সোর্স খোকন ও সুমন।

মামলায় বাদিনীর অভিযোগ, তার স্বামী ফরমান উল্লাহ সাংবাদিকতা পেশায় জড়িত ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি সাংবাদিকতা পেশা ছেড়ে দেন। কিন্তু তিনি যাত্রাবাড়ী থানার পুলিশ, পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী এবং স্থানীয় সন্ত্রাসীদের সাথে যোগাযোগ রেখে নিরীহ মানুষদের মিথ্যা মামলা দিয়া হয়রানি করতে দেখতে পান। এরপর গত ৫ মে, গত ৮ জুন ও গত ১৬ জুন ডাকযোগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ পুলিশের বিভিন্ন দপ্তরে ওই সংক্রান্ত পৃথক তিনটি অভিযোগ করেন। অভিযোগের বিষয়ে জানতে পেরে আসামিরা তাকে ফোন করে থানায় নিয়ে অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিতে বলেন। তা না তুলে নিলে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুকি দেনন। এরপর গত ২১ জুন বাদীর স্বামীকে ওয়ারি থানাধীন রাজধানী সুপার মার্কেট থেকে আসামিরা তাকে টেনে ছেঁচড়ে যাত্রাবাড়ী থানায় নিয়ে যায়। বাদী ওয়ারি জোনের ডিসি ফরিদকে বিষয়টি জানালে তিনি আসামি ইফতেখারুলকে ফোন করে তাকে ছেড়ে দিতে বলেন এবং বাদীকে থানায় গিয়ে তার স্বামীকে নিয়ে আসতে বলেন।

বাদিনী থানায় গেলে আসামি ইফতেখারুলকে ডিসি ফরিদকে গালিগালাজ করে নিজেকে নারায়ণগঞ্জের এমপি শামীম ওসমানের মেয়ের জামাই পরিচয় দেন এবং বাদীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও চড়-থাপ্পড় মারেন। ওই সময় বাদী তার স্বামীকে ছেড়ে দিতে অনুরোধ করলে আসামি ইফতেখারুল তার স্বামীকে ছেড়ে দিতে ছয় লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। এরপর বাদী তাদের দুই লাখ টাকা দেন।

এর আগেই আসামিরা বাদীর স্বামীকে মারধর করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। বাদী সেখানে গিয়ে জানতে পারেন, তার স্বামীকে মাদকের তিনটি মিথ্যা মামলায় কোর্টে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে বাদীর স্বামী কেরানিগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বাদী মামলার বিষয়টি পুলিশের ঊর্ধ্বতন মহলে অভিযোগ করেন, তারা কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় বাদী আদালতে মামলাটি করেন।

(ঢাকাটাইমস/১৬নভেম্বর/আরজে/জেডএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :