ঢাকাটাইমসের নিউজে কেন্দ্র পেল চরের পরীক্ষার্থীরা

রিমন রহমান
রাজশাহী ব্যুরো প্রধান
| আপডেট : ২০ নভেম্বর ২০১৭, ০০:০২ | প্রকাশিত : ১৯ নভেম্বর ২০১৭, ২৩:৪৭
ফাইল ছবি

রাজশাহী শহরের দক্ষিণ পাশ দিয়ে বয়ে গেছে পদ্মা নদী। নদীর ওপারে চর। সেই চরে রয়েছে তিনটি প্রাথমিক বিদ্যালয়। কিন্তু প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীর (পিইসি) জন্য এতোদিন সেখানে কোনো পরীক্ষাকেন্দ্র ছিল না। তাই নদী পাড়ি দিয়ে এপারে শহরে এসে পরীক্ষায় বসতে হতো তাদের।

এবার তাদের এপারে এনে পরীক্ষা দেয়াতে থাকা-খাওয়ার খরচ বাবদ শিক্ষকরা আদায় করছিলেন মাথাপিছু দেড় হাজার টাকা। জেলার পবা উপজেলার এই চরের অনেক হতদরিদ্র অভিভাবকেরই সেই টাকা দেয়ার সামর্থ নেই। ফলে এবারের পিইসিতে অংশ নেয়া নিয়ে চরের তিনটি স্কুলের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীর দেখা দেয় অনিশ্চয়তা।

এ নিয়ে গত ১৫ নভেম্বর ঢাকাটাইমসে চরে নেই কেন্দ্র, পিইসিতে বসতে খরচ দেড় হাজার শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপরই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। পরবর্তীতে জেলা শিক্ষা কমিটির সভায় চরে দুটি উপকেন্দ্র করার সিদ্ধান্ত হয়। সে অনুযায়ী চরে এবারই প্রথম দুটি উপকেন্দ্র চালু হলো। এর ফলে চরের শিক্ষার্থীরা এবার চরেই পরীক্ষা দিতে শুরু করল।

পবা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোখলেসুর রহমান বলেন, চরের শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রকাশিত সংবাদটি স্থানীয় সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিনের নজরে আসে। তিনিই তখন চরে উপকেন্দ্র করার জন্য উপজেলা শিক্ষা কমিটিকে পরামর্শ দেন। এরপর উপজেলা শিক্ষা কমিটি জেলা শিক্ষা কমিটির সভায় বিষয়টি উপস্থাপন করে।

এ সময় চরের শিক্ষার্থীদের সুবিধার কথা বিবেচনায় নিয়ে জেলা শিক্ষা কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক হেলাল মাহমুদ শরীফ এ বছরই চরে দুটি উপকেন্দ্র চালু করার নির্দেশ দেন। তার নির্দেশনা মোতাবেক চর নবীনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও চর তারানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুটি উপকেন্দ্র চালু করা হয়।

শিক্ষা কর্মকর্তা ঢাকাটাইমসকে জানান, চর নবীনগর স্কুলে শুধু সেই স্কুলের পরীক্ষার্থীরাই পরীক্ষা দিচ্ছে। পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৪৯ জন। অন্যদিকে চর তারানগর স্কুলে ওই স্কুল ছাড়াও চর খিদিরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিচ্ছে। তারানগরে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২৮ জন।

নদীভাঙনের কারণে তারানগর স্কুলটি খানপুরে, নবীনগর স্কুলটি মাঝারদিয়াড় ও খিদিরপুর স্কুলটি মধ্যচরে স্থানান্তর করা হয়েছে। খানপুর ও খিদিরপুর স্কুল এখন পবার হরিয়ান ইউনিয়নে। আর মাঝাড়দিয়াড় স্কুলটি হরিপুরে। প্রথমবারের মতো চরে পিইসি পরীক্ষা শুরু হওয়ায় দারুণ খুশি এই দুই ইউনিয়নের চেয়ারম্যানেরা। রবিবার প্রথম পরীক্ষা পরিদর্শনে ওই দুই স্কুলে যান তারা।

হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বজলে রেজবী আল হাসান মুঞ্জিল বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই তারা চরে একটি উপকেন্দ্র করার দাবি জানিয়ে আসছিলেন। কিন্তু তারা সেটি পাননি। ঢাকাটাইমসে প্রকাশের পর তারা দুটি উপকেন্দ্র পেয়েছেন। এর মাধ্যমে চরের শিশুদের শিক্ষার পথ প্রসারিত হলো। তাই তারা খুব খুশি।

(ঢাকাটাইমস/১৯নভেম্বর/আরআর/ইএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :