প্রশ্নফাঁস: ঢাবির সাত শিক্ষার্থী রিমান্ডে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের মামলায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি সাত শিক্ষার্থীর একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
বুধবার ঢাকা মহানগর হাকিম মো মাহমুদুল হাসান এই রিমান্ডের আদেশ দেন।
গত সোমবার রাতে আটককৃত উক্ত আসামিদের বুধবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম আদালতে হাজির করে সাত দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন। রাজধানীর শাহবাগ থানায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের একটি মামলায় ওই রিমান্ড আবেদন করা হয়।
রিমান্ডকৃত আসামিরা হলেন ঢাবির অর্থনীতি বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী তানভীর আহম্মেদ মল্লিক, মনোবিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের মো. বায়জিদ, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের নাহিদ ইফতেখার, অর্থনীতি বিভাগের প্রথম বর্ষের ফারদিন আহম্মেদ সাব্বির, সংস্কৃতি বিভাগের প্রথম বর্ষের প্রসেনজিত দাস, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের রিফাত হোসাইন এবং ধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী আজিজুল হাকিম।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, আসামিরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার সময় ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্র সংগ্রহ করে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে বিভিন্ন বিভাগে পড়াশোনার পাশাপাশি ভর্তি ইচ্ছুক ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে অর্থের বিনিময়ে প্রশ্নপত্র ফাঁস করে আসছে। তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস করে তার উত্তরপত্র পরীক্ষাকেন্দ্রে সরবরাহ করে আসছে। আসামিরা অত্যন্ত সুচতুর প্রকৃতির। তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করাসহ দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ বিদ্যাপীঠে ভর্তি হওয়া হতে বঞ্চিত করে আসছে। এই ক্ষেত্রে তুলনামূলক কম মেধাবীরা টাকার বিনিময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সহ মেডিকেল ভর্তি হয়ে পড়াশোনা করছে। ফলে তারা দেশকে মেধাশূন্য করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে।
আবেদনে আরও বলা হয়, স্বল্প সময়ের জিজ্ঞাসাবাদে আসামিদের কাছ থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁস সংক্রান্তে উল্লেখযোগ্য কোনো তথ্য বের করা সম্ভব হয়নি। মামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্য আসামিদের নাম-ঠিকানা সংগ্রহ পূর্বক গ্রেপ্তার, মূল ঘটনা উম্মোচন, মূল হোতাদের চিহ্নিতকরণ, প্রশ্নপত্র ফাঁসের মাধ্যমে যারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে তাদের শনাক্তকরণ, আসামিদের কর্মপদ্ধতি ও ব্যবহৃত ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসসমূহের পরিচিতি ও ব্যবহার পদ্ধতি যাচাইয়ের জন্য রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।
প্রসঙ্গত, গত ২০ অক্টোবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক ও ঢাবির পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র মহিউদ্দিন রানাসহ তিনজনকে রিমান্ডে নেয়া হয়। রিমান্ডে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের তথ্যের ভিত্তিতে সাত আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
(ঢাকাটাইমস/২২নভেম্বর/আরজেড/জেবি)