বন্যায় গৃহহীন ১৮ হাজার পরিবার পাচ্ছে বাড়ি

এস কে সাহেদ, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১৫ ডিসেম্বর ২০১৭, ২২:৪১ | প্রকাশিত : ১৫ ডিসেম্বর ২০১৭, ২২:২৬

দুই দফা বন্যা ও নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত ও গৃহহীন অন্তত ১৮ হাজার পরিবারকে বাড়ি তৈরি করে দেবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। দেশের কোনো লোক গৃহহীন থাকবে না- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই নির্দেশনা বাস্তবায়নে সহায়তা করতে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

সম্প্রতি এ-সংক্রান্ত একটি চিঠি বন্যা ক্ষতিগ্রস্ত ৩৫ জেলার ডিসি ও সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় কমিশনারের কাছে পাঠানো হয়। তাতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত জেলার প্রতিটি থেকে অন্তত ৫০০ গৃহহীনের তালিকা জরুরি ভিত্তিতে মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে বলা হয়।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের ত্রাণ কর্মসূচি বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ হোসেনের স্বাক্ষরিত চিঠিতে প্রকৃত গৃহহীনদের তালিকা করার সময় তিনটি বিষয় অগ্রাধিকার দিতে বলা হয়- গৃহহীন মুক্তিযোদ্ধা, গৃহহীন বয়স্ক কৃষক এবং গৃহহীন বিধবা ও প্রতিবন্ধী।

চিঠিতে বলা হয়, চলতি বছর দুই দফা বন্যায় দেশের ৩৫ জেলা আক্রান্ত হয়। তাতে জনজীবনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় এবং অনেক পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়ে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় মানবিক সহায়তা কর্মসূচি বাস্তবায়ন নির্দেশিকা অনুসারে প্রতি বছর ক্ষতিগ্রস্তদের ঢেউটিন ও গৃহনির্মাণ সামগ্রী বরাদ্দ দিয়ে থাকে। এবার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের দুর্যোগ লাঘবে ঘর নির্মাণ করে দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে মন্ত্রণালয়।

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের ঘর নির্মাণ করে দিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘কোনো লোক গৃহহীন থাকবে না’ নির্দেশনা বাস্তবায়নে সহায়ক হবে বলে চিঠিতে বলা হয়। একই সঙ্গে প্রকৃত গৃহহীনরা যাতে ঘর পায় সেদিকে নজর রেখে তালিকা করতে নির্দেশনা দেয়া হয় চিঠিতে।

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত যেসব জেলায় গৃহহীনদের ঘর তৈরি করা হবে সেগুলো হলো- লালমনিরহাট. দিনাজপুর, কুড়িগ্রাম, ঠাকুরগাঁও, নীলফামারী, পঞ্চগড়, গাইবান্ধা, বগুড়া, রংপুর, সিরাজগঞ্জ, জামালপুর, নওগাঁ, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, শরীয়তপুর, রাজবাড়ী, মানিকগঞ্জ, মাদারীপুর, টাংগাইল, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ, শেরপুর, মুন্সিগঞ্জ, ময়মনসিংহ, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, সিলেট, রাজশাহী, নাটোর, চাঁদপুর, জয়পুরহাট, ঢাকা, পাবনা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও যশোর।

আমাদের লালমনিরহাটের প্রতিনিধি জানান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের আওতায় লালমনিরহাটের ৫০০ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে এ কর্মসূচির আওতায় সুবিধাভোগী হিসেবে আনা হবে। ইতোমধ্যে জেলায় সুবিধাভোগীদের তালিকা প্রণয়নের কাজ শুরু হয়েছে।

স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, এবারের দুই দফা বন্যা ও নদীভাঙনে লালমনিরহাটের পাঁচ উপজেলার ৪৫টি ইউনিয়নের মধ্যে ৩৫টি ইউনিয়ন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এসব ইউনিয়নের অনেক পরিবার বন্যার দুর্যোগে গৃহহীন হয়ে পড়ে। লালমনিরহাট জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার অতিরিক্ত দায়িত্বে সহকারী কমিশনার সুজাউদ্দৌলা জানান, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সমম্বয় করে সুবিধাভোগী ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর তালিকা তৈরির কাজ চলছে।

(ঢাকাটাইমস/১৫ডিসেম্বর/মোআ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :