মাছ ধরতে সাহায্য করে ডলফিন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৬:৫৯

মাছ ধরতে টোপ হিসেবে কেঁচো বা পিপড়ার মত নানা ধরনের প্রাণীর ব্যবহার আছে পৃথিবীর নানা দেশে।

বিবিসি জানায়, এশিয়ার দেশগুলোতে মাছ ধরতে ভোদড় ব্যবহারের কথাও শোনা যায়। কিন্তু কেউ মাছ ধরতে ডলফিনকে কাজে লাগাচ্ছে এমন শোনা যায়নি।কিন্তু অভূতপূর্ব এই ঘটনা ঘটছে ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলে, সেখানে ডলফিন জেলেদের মাছ ধরতে সাহায্য করছে।

সেই রিও ডি জেনিরো থেকে কয়েক মাইল দূরে নদীতে মাছ ধরেন লুকাস ফার্নান্দেজ। তিনি বলছিলেন, ডলফিনগুলোর সঙ্গে জেলেদের বোঝাপড়া চমৎকার।

তিনি জানান, ডলফিনগুলোর আলাদা নাম আছে। বোরাচা, ব্যাটম্যান, জ্যাক, স্কুবি, কারোবা, অ্যাভালানস— এ রকম সব নাম।

‘ওরা করে কি, মরার ভান করে আস্তে আস্তে ভাসে, যাতে অন্য মাছ কাছে আসে। যখন পর্যাপ্ত মাছ চলে আসে কাছে, তখন ডলফিনগুলো পানির ওপর লাফিয়ে উঠে আমাদের সংকেত দেয়। আমরা তখন জাল ফেলি।’

কিন্তু ডলফিনেরা নিয়মিত এমন একটি কাজ কেন করে থাকে? ড. পেদ্রো ভলমার ডে কাস্টিলহো, একজন মেরিন বায়োলজিস্ট বা সামুদ্রিক প্রাণীবিজ্ঞানী।

তিনি বলছেন, এটা হয়তো ডলফিনগুলো নিজেদের দৈনন্দিন কাজের অংশ হিসেবে করে থাকে।

‘এটা হয়তো নিত্যদিনকার খেলার অংশ হিসেবে করে ডলফিনগুলো। তাছাড়া প্রতিবার মাছ ধরার পর জেলেরা ওদের খাবার দিচ্ছে, সেটাও ওরা বুঝে গেছে, যে নির্দিষ্ট কিছু খেলার পর খাবার পাওয়া যায়। আমার বিশ্বাস এটি ডলফিনগুলোকে এক ধরনের সামাজিক প্রশান্তিও দেয়।’

কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে দেখা গেছে, সমুদ্র সৈকতে কয়েকদিন পর পরই একটি দুটি করে ডলফিনের মৃতদেহ ভেসে উঠছে।

প্রানীবিদ এবং সংরক্ষণবাদীরা পরীক্ষা করে দেখতে পেয়েছেন, মৃত ডলফিনের অনেকগুলোর গায়ে, মুখে বা পাখনায় মাছ ধরার জালের দাগ।

এখন মাছ ধরতে সাহায্য করতে গিয়ে জেলেদের জালে আটকা পড়ছে ডলফিন, না অবৈধভাবে ডলফিন শিকার করতে চায় যারা, তাদের ফাঁদে পড়ছে আমোদপ্রিয় এই প্রাণীটি-এ নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে।

তাদের সন্দেহ সাগর, নদী বা বড় হ্রদের কাছাকাছি অবস্থিত ছোটোখাটো জলাশয়গুলোতে, যেখানে মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, সেসব জায়গায় অবৈধ শিকারিরা অনেক সময় অবৈধভাবে গোপনে জাল পেতে রাখে। তাতে আটকা পড়ে ডলফিনেরা প্রায়ই আহত হচ্ছে এবং মারা যাচ্ছে।

কিন্তু পরিবেশবাদীরা বলছেন, জেলেরা যেভাবে মাছ ধরার জন্য ডলফিনদের কাজে লাগায়, তাতে জেলেরা অবৈধ ডলফিন শিকারের হাত থেকেও ওদের রক্ষা করে যাচ্ছে। কারণ প্রতিদিনকার এক ধরনের নজরদারি থাকছে এ কাজের মাধ্যমে।

তাছাড়া জেলেরা বলছেন, এই ডলফিনগুলো যেহেতু তাদের রোজগারের ব্যবস্থা করে, সে কারণে এদের ভালোমন্দের ব্যপারে তারা বেশ সচেতনও। কারণ তারা জানেন, ডলফিন না থাকলে তাদের রোজগার বন্ধ হয়ে যাবে।

(ঢাকাটাইমস/৩১ডিসেম্বর/এসআই)

সংবাদটি শেয়ার করুন

আন্তর্জাতিক বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

আন্তর্জাতিক এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :