র‌্যাব পরিচয়ে তুলে নেয়ার ১৪ দিনেও নিখোঁজ ঘের ব্যবসায়ী

ব্যুরো প্রধান, খুলনা
 | প্রকাশিত : ২৮ আগস্ট ২০১৮, ১৬:৪১

র‌্যাব পরিচয়ে যশোরের নাভারণ থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া ঘের ব্যবসায়ী আলতাফের সন্ধান মেলেনি ১৪ দিনেও। ফলে গভীর উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার মধ্যে রয়েছে তার পরিবার।

নাভারণের কাজীরবের গ্রামের সেলিনা বেগম তার স্বামীকে উদ্ধারের দাবিতে আজ মঙ্গলবার দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান। এ সময় তার দুই শিশুসন্তান লামিয়া ও সামিয়া অঝোর ধারায় কাঁদছিল।

সংবাদ সম্মেলনে অশ্রুশিক্ত সেলিনা বেগম সাদা পোশাকের লোকজন কর্তৃক তার স্বামীকে তুলে নিয়ে যাওয়ার বর্ণনা দেন। তিনি বলেন, ‘গত ১৪ আগস্ট রাত আনুমানিক ৯টার দিকে শার্শা থানার নাভারণ কাজীরবের গ্রামে আমার শ্বশুরবাড়ি থেকে দুই সন্তান ও আমার সামনে র‌্যাব পরিচয়ে পাঁচজন লোক আমার স্বামীকে (৩৭) একটি প্রাইভেটকার যোগে তুলে নিয়ে যায়।’

আলতাফ হাওলাদার বাগেরহাট জেলার শরণখোলা উপজেলার খোন্তাকাটা গ্রামের মৃত আব্দুল গণি হাওলাদারের ছেলে। তিনি খুলনার হরিণটানা থানার পুটিমারী বিল এলাকায় ঘের ও মাছের ব্যবসা করেন।

সেলিনা বেগম বলেন, ‘তাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে জানাতে ১৫ আগস্ট আমি শার্শা থানায় জিডি করতে যাই। কিন্তু ওসি জিডি না নিয়ে লিখিত অভিযোগ নেন। এরপর বিষয়টি যশোরের নাভারণ সার্কেলের এএসপি ইমরানের কাছে লিখিতভাবে জানাই। তিনি র‌্যাবের কাছে খোঁজ নিতে বলেন। পরে ২৫ ও ২৬ আগস্ট আমি ও আত্মীয়-স্বজনরা খুলনার র‌্যাব-৬ কার্যালয়ে গিয়ে কোনো তথ্য পাইনি।’

তবে র‌্যাবের কাছেই তার স্বামী আটক আছে বলে জানান সেলিনা বেগম।

এটা কীভাবে নিশ্চিত হলেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘নাভারণ সার্কেলের এএসপি ইমরান প্রযুক্তির মাধ্যমে নিখোঁজ আলতাফের মোবাইল ফোনের লোকেশন খুলনার লবণচরাস্থ র‌্যাব-৬ কার্যালয়ে পান বলে আমাদের জানান। এ ছাড়া অপহরণের পরদিন রহিম নামের র‌্যাব-৬ এর সোর্স পরিচয়ে আমার কাছে একটি ফোন (নম্বর ০১৭০০-৭৭১৫১৫) আসে। ওই ব্যক্তি ফোনে জানান আলতাফ তাদের কাছে আছে, আমি যেন কোনো চিন্তা না করি।’

অপর এক প্রশ্নের জবাবে সেলিনা বেগম বলেন, মাছের ঘের নিয়ে তার ব্যবসায়িক পার্টনারের সঙ্গে আলতাফের বিরোধ থাকতে পারে। তিনি তার স্বামীকে দ্রুত উদ্ধারের জন্য প্রধানমন্ত্রীসহ প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

১৪ দিন ধরে নিখোঁজ আলতাফ হাওলাদারের দুটি শিশু সন্তান রয়েছে। সেলিনা বেগম বলেন, ‘আমি দুটি সন্তানকে নিয়ে কোরবানির ঈদের আগে থেকে স্বামীর সন্ধানে বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়াচ্ছি। খুব অসহায় বোধ করছি। তার (আলতাফ) বর্তমানে খুবই মানবেতর জীবন যাপন করছি আমরা। ঈদের দিনও শিশুসন্তানদের সঙ্গে নিয়ে খুঁজে বেড়িয়েছি স্বামীকে।

(ঢাকাটাইমস/২৮আগস্ট/মোআ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :