গাজীপুরে বিএনপিকর্মীদের কোপে যুবলীগ নেতা নিহত
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণের সময় গাজীপুরে এক যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। তার নাম লিয়াকত আলী। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আ.লীগের আরো সমর্থক।
রবিবার দুপুরে দুপুরে সিটি করপোরেশনের হাড়িনাল এলাকার একটি ভোট কেন্দ্রের বাইরে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত লিয়াকত আলী শহরের রথখোলা এলাকার আব্দুল হাই মেম্বারের ছেলে। তিনি কাজী আজিম উদ্দিন কলেজের সাবেক ভিপি এবং যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরে সিটি করপোরেশনের হাড়িনাল এলাকার একটি ভোট কেন্দ্রের বাইরে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে যুবলীগ নেতা লিয়াকত আলীর ও তার অনুসারীদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় বিএনপি নেতাকর্মীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে লিয়াকত আলীসহ আরো চারজন আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেলে নেয়ার পথে তিনি মারা যান।
লিয়াকত আলী নিহতের খবরে এলাকার রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেন যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
নিহতের ভাই ও সাবেক মহানগর ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মাসুদ রানা এরশাদ তার ভাইয়ের হত্যাকারীদের বিচার দাবি করে বলেন, ‘আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার কারণে আমার ভাইকে মরতে হল। আমি শেখ হাসিনার কাছে আমার ভাই হত্যার বিচার চাই।’
এটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা দাবি করে গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশ কমিশনার ওয়াই এম বেলালুর রহমান বলছেন, নির্বাচনমুখী লোকজনকে হামলা ও নিহতের ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
ঢাকাটাইমস/৩০ডিসেম্বর/ইএস