সন্ধ্যার ভাঙনে নদীতে মসজিদ-দোকান

পিরোজপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৪ মে ২০১৭, ১৮:১৭

পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার সন্ধ্যা নদীর ভয়াবহ ভাঙনের মুখে পড়ে বিলীন হয়েছে বিস্তৃর্ণ এলাকার একাধিক ঘরবাড়ি, মসজিদ, গাছপালা, ফসলি জমি। নদীর ভাঙনের মুখে অনেকে ভিটেমাটি হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছেন। আবারও নদী পাড়ে দেখা দিয়েছে অসংখ্য ফাটল, শুরু হয়েছে ভাঙন।

অব্যাহত ভাঙনে দিশেহারা নদীপাড়ের জনজীবন। সম্প্রতি আবারও উপজেলার চিড়াপাড়া এলাকায় নদী ভাঙনে বিলীন হয়েছে দোকানপাট, ঝুঁকির মুখে রয়েছে মসজিদ।

এটি দেখতে সরেজমিনে পরিদর্শন করেছে কাউখালী উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম আহসান কবির।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কাউখালী উপজেলার চিরাপাড়া ইউনিয়নের সুবিদপুরের বাদামতলা একটি জামে মসজিদের অংশবিশেষ নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। বিলীন হয়েছে একাধিক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান (দোকান)।

উপজেলার ওই ইউনিয়নের বাদামতলা খেয়াঘাট এলাকার বড় একটি অংশজুড়ে দেখা দিয়েছে অসংখ্য ফাটল। যা শিগগির নদীতে বিলীনের পথে।

নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, চলতি বছর নদীপাড় ভাঙনের তীব্রতা অন্যান্য সময়ের চেয়ে অনেক বেশি। ক্রমশই তা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভাঙনের ফলে স্থানীয় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের এখন পথে বসার অবস্থা হয়েছে।

চিরাপাড়া ইউনিয়নের সুবিদপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. নুরুল ইসলাম জানান, গত ২০ বছরে সন্ধ্যা নদীর ভাঙনে এ গ্রামের (সুবিদপুর) কয়েকশ বাড়িঘর, ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙন ঠেকাতে জরুরিভাবে কার্যকরী উদ্যোগ নেয়া দরকার।

চিরাপাড়া পারসাতুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহামুদ খান খোকন বলেন, অনেক দিন ধরেই কঁচা ও সন্ধ্যা নদী ভাঙছে। স্বাধীনতার পর থেকে ভাঙন রোধে কার্যকর কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। প্রতিদিন এ জনপদের জমি, স্থাপনা ও বৃক্ষরাজি সন্ধ্যার করাল গ্রাসে বিলীন হচ্ছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সুদৃষ্টি দেবেন বলে আশা রাখি।

কাউখালী উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম আহসান কবির বুধবার দুপুরে ঢাকাটাইমসকে বলেন, মসজিদের পুরোটাই নদীতে বিলীন হয়েছে। বাকি ছিল মসজিদের বারান্দা। এ ঘটনা শোনার পরই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। নামাজ যাতে বন্ধ না হয় এজন্য আমাদের উপজেলার পরিষদ থেকে অস্থায়ী মসজিদ তৈরিতে ৩০ হাজার টাকা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছি। স্থানীয় একজন মসজিদের জায়গা দিয়েছেন। অস্থায়ী মসজিদ তৈরিতে স্থানীয়ভাবে গাছ, খুঁটি সংগ্রহ করে এটি নির্মাণের জন্য।

তিনি আরো বলেন, সন্ধ্যা নদীর ভাঙনের মুখে মসজিদ ও দোকানপাট। এ বিষয়ে আমার ফেসবুক পেইজে একটি স্ট্যাটাস দেয়ায় অনেকেই আগ্রহ প্রকাশ করেছেন সহযোগিতার। ইতোমধ্যে ‘কুয়েত জয়েন্ট রিলিফ কমিটি বাংলাদেশ’ পক্ষ থেকেও আমার সাথে যোগাযোগ করেছে। কুয়েতি অর্থায়নে মসজিদ নির্মাণের আগ্রহ দেখিয়েছে। তাদের নিয়মানুয়ায়ী কিছু কাজ সম্পন্ন শেষে তাদের আগ্রহের কথা ভাবব। তারা হয়তো দু-এক দিনের মধ্যে আমাদের উপজেলায় আসবেন।

(ঢাকাটাইমস/৪মে/প্রতিনিধি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :