মুক্তাগাছা জমিদার বাড়ির ইতিহাস শ্বেত পাথরে

মনোনেশ দাস, ময়মনসিংহ ব্যুরো প্রধান
  প্রকাশিত : ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৪:১১| আপডেট : ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৫:০২
অ- অ+

ময়মনসিংহের ঐতিহ্যবাহী মুক্তাগাছা জমিদারবাড়িতে সংযুক্ত করা হয়েছে শ্বেত পাথরে লেখা ইতিহাস। বইয়ের পাতার আদলে তৈরি ওই লেখাটি জমিদারবাড়ির সামনে স্থাপন করা হয়েছে।

সম্প্রতি প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের উদ্যোগে গড়া ইতিহাস লেখা এই সংযোজনটি পর্যটকদের দৃষ্টি কেড়েছে। তারা জানতে পাচ্ছেন মুক্তাগাছার জমিদারদের সংক্ষিপ্ত ইতিহাসও। সেখানে উপরের অংশে বাংলায় এবং নিচের অংশে অনুবাদ করে ইংরেজিতে লেখা হয়েছে।

বর্ণনায় প্রকাশ করা হয়েছে, মুক্তাগাছা জমিদারবাড়ি, ময়মনসিংহ। ময়মনসিংহ জেলাধীন মুক্তাগাছা উপজেলা সদরে মুক্তাগাছা জমিদার বাড়িটি অবস্থিত। সুবিশাল জমিদারবাড়ির প্রধান প্রবেশ তোরণের পশ্চিম দিকে আটআনি প্রাসাদের অবস্থান। ময়মনসিংহ জমিদারির প্রতিষ্ঠাতা শ্রীকৃষ্ণ আচার্য চৌধুরী ১৭২৭ সালে আলীবর্দি খাঁর সময়ে এ জমিদারির বন্দোবস্ত পান। খ্রিস্টীয় উনিশ শতক থেকে বিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে এ জমিদারির উত্তরাধিকারীরা অনন্য স্থাপত্যশৈলিতে বিভিন্ন স্থাপনাগুলো নির্মাণ করেছেন। জমিদার বাড়িটির মধ্যে দুর্গামন্দির, রাজ- রাজেশ্বরী মন্দির, তোষাখানা, লোহার নির্মিত দ্বিতল হওয়াখানাসহ বেশ কয়েকটি ভবন রয়েছে। নাটমন্দিরের পশ্চিমাংশে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান মঞ্চায়নের জন্য ছিল ঘূর্ণায়মান মঞ্চ। প্রাসাদ প্রাঙ্গণের বাইরে রয়েছে হররামেশ্বর মন্দির, পাথরের শিব মন্দির, জোড়া মন্দির ও তিন শিব মন্দির; যা আজ পর্যন্ত তৎসময়ের প্রত্ন ঐতিহ্য বহন করে চলেছে। ১৯৯৩ সালে এ মুক্তাগাছার বাড়িসহ পাশ্ববর্তী চারটি মন্দির প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর আটআনি জমিদার অধিদপ্তর কর্তৃক সংরক্ষিত পুরাকীর্তি হিসাবে ঘোষিত হয়। নিচের অংশে অনুরুপ ইংরেজিতে অনুবাদ করে লেখা হয়েছে।

মুক্তাগাছা জমিদারবাড়ি দেখতে আসা দেশি বিদেশি পর্যটকরা জানান, এই ইতিহাস পড়ে আমাদের ঐতিহাসিক এ বাড়ি দর্শনে সহায়ক হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/৯সেপ্টেম্বর/জেডএ)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ অতঃপর মন্ত্রী ফরিদুল হক খান দুলাল…
ব্যর্থতা ঢাকতে ট্রাম্প অস্বাভাবিক বাড়িয়ে বলছেন: খামেনি
এখন পর্যন্ত ৬০ হাজার ৫১৩ হাজি দেশে ফিরেছেন
মুরাদনগরে ধর্ষণ: তারকাদের ক্ষোভ, প্রতিবাদ
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা