ঘোড়াশাল ও পলাশ ভেঙে হচ্ছে একটি সার কারখানা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ২৪ অক্টোবর ২০১৮, ১৮:৩০| আপডেট : ২৪ অক্টোবর ২০১৮, ১৮:৫৯
অ- অ+

নরসিংদীকে ঘোড়াশাল ও পলাশ সার কারখানা ভেঙে একটি কারখানা করতে যাচ্ছে সরকার। দুটি কারখানা যত উৎপাদন হয়, নতুন কারখানায় তা হবে তিন গুণ।

নতুন কারখানাটিতে যন্ত্রপাতি থাকবে অত্যাধুনিক। ফলে এখানে জ্বালানি খরচ যেমন কমবে, তেমনি বাড়বে উৎপাদন।

নতুন কারখানার নাম রাখা হয়েছে ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া ফার্টিলাইজার প্রজেক্ট- জিপিইউএফপি। এটি বাস্তবায়নে বুধবার চুক্তি হয়েছে।

চলতি অর্থবছরে শুরু করে ২০২২ সালে এই প্রকল্প শেষ করতে চায় শিল্প মন্ত্রণালয়।

শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু এবং বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত হিরোয়াসু ইজুমির উপস্থিতিতে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে এই চুক্তি স্বাক্ষর হয়।

কারখানাটি নির্মাণ করবে জাপানি প্রতিষ্ঠান মিত্সুবিশি হেভি ইন্ডাস্ট্রিজ এবং চায়না ন্যাশনাল কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং। মিতসুবিশির পক্ষে সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট হাজিমী নাগানো এবং চায়না ন্যাশনালের পক্ষে ওয়ান দ লিন চুক্তিতে সই করেন। বাংলাদেশের পক্ষে সই করেন বাংলাদেশ রসায়ন শিল্প সংস্থা বিসিআইসির চেয়ারম্যান শাহ্ মো. আমিনুল হক।

কারখানাটি নির্মাণে মোট ব্যয় ধরা হবে ১০ হাজার ৪৬০ কোটি ৯১ লাখ টাকা। এর মধ্যে বাংলাদেশ সরকার দেবে এক হাজার ৮৪৪ কোটি ১৯ লাখ টাকা । বাকি ৮ হাজার ৬১৬ কোটি ৭২ লাখ টাকা ঋণ নেয়া হবে।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, নতুন কারখানাটি হবে একটি জ্বালানি সাশ্রয়ী, উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন এবং পরিবেশবান্ধব। এতে প্রতিদিন দুই হাজার ৮০০ মেট্রিক টন গ্রানুলার ইউরিয়া উৎপাদিত হবে। বছরে এ কারখানা থেকে ৯ লাখ ২৪ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার পাওয়া যাবে।

অনুষ্ঠানে শিল্পমন্ত্রী অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে এশিয়ার ‘উদীয়মান বাঘ’ উল্লেখ করে বলেন, ‘বিশ্বের অনেক দেশ বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য বর্তমান সরকার ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলছে। এসব অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিশ্বখ্যাত উদ্যোক্তারা বিনিয়োগে এগিয়ে আসছে। এর ফলে বাংলাদেশে জ্ঞানভিত্তিক ও পরিবেশবান্ধব শিল্পায়নের নতুন ধারা জোরদার হয়েছে।’

জাপানকে বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত বন্ধু ও উন্নয়ন অংশীদার উল্লেখ করে আমু বলেন, ‘এটি নির্মাণে জাপানের উন্নত ও পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। এ প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশে আরও বড় বড় প্রকল্পে জাপানের বিনিয়োগ আসবে।’

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্যসচিব নজিবুর রহমান, এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ, বাংলদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী আমিনুল ইসলাম, সংসদ সদস্য কামরুল আশরাফ খান, ভারপ্রাপ্ত শিল্পসচিব আবদুল হালিম, বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত হিরোয়াসু ইজুমি, বিসিআইসির চেয়ারম্যান শহ্ মো. আমিনুল হক প্রমুখ এ সময় বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, পাকিস্তান আমলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব পাকিস্তানের বাণিজ্য, শ্রম ও শিল্পমন্ত্রী থাকাকালে ১৯৫৭ সালে সিলেটের ফেঞ্জুগঞ্জে সার কারখানা স্থাপন হয়। প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনা সে কারখানার স্থলে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির শাহ্জালাল সার কারখানা স্থাপন করেছেন।

(ঢাকাাটাইমস/২৪অক্টোবর/জেআর/ডব্লিউবি)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
সব দেশের সার্বভৌমত্বকে সম্মান করে বাংলাদেশ: প্রেস সচিব
মে দিবস ২০২৫-এ বয়ে আনুক কর্মজীবীদের আশার আলো
৩২ বছর পর ৩১ জুলাই হতে যাচ্ছে জাকসু নির্বাচন
আজ  মহান মে দিবস
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা