বৌভাত থেকে নববধূকে তুলে নেওয়ার চেষ্টা, সাতজনকে গণপিটুনি

কুমিল্লায় বৌভাত অনুষ্ঠানে হামলা চালিয়ে নববধূকে তুলে নেয়ার চেষ্টাকালে সাতজনকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয় জনতা। এছাড়া নববধূকে তুলে নেওয়ার সময় সংঘর্ষে আহত হয়েছেন অন্তত ২৫ জন।

শুক্রবার জেলার দেবিদ্বার উপজেলার সাহারপাড় গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। কুমিল্লার নিমসার কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি ইসমাইল ও সহযোগী সাকিবের নেতৃত্বে ২৫/৩০ জন এই হামলা চালিয়েছে বলে জানা গেছে।

গণপিটুনির পর পুলিশে সোপর্দ করা সাতজন হলেন-কোতয়ালি থানার জাগরতলি গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে আলী হোসেন, বুড়িচং উপজেলার কোরপাই গ্রামের মরণ পালের ছেলে সজিব পাল, চান্দিনা উপজেলার এদবারপুর গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে বাছির আহমেদ, চান্দিনা উপজেলার মহরম গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে নাহিদুল ইসলাম, বুড়িচং উপজেলার নামতলা গ্রামের সুজাত আলীর ছেলে মোহাম্মদ জাফর, চান্দিনা উপজেলার জাফরাবাদ গ্রামের আব্দুল আউয়ারের ছেলে মেহেদী হাসান এবং দেবিদ্বার উপজেলার সূরপুর গ্রামের বাদশা মিয়ার ছেলে মো. আলম।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১ ফেব্রুয়ারি দেবিদ্বার উপজেলার সূর্যপুর গ্রামের জাকির ফরাজীর মেয়ে ফাতেমা আক্তারের সঙ্গে একই উপজেলার সাহারপাড় গ্রামের মো. ইউনুছের ছেলে ছিদ্দিকুর রহমানের বিয়ে হয়। শুক্রবার বরের বাড়িতে বৌভাতের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে কনের কলেজের সহপাঠী ইসমাইল হোসেনের নেতৃত্বে দুপুর আড়াইটার দিকে ২৫/৩০ জন বখাটে অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। তারা অনুষ্ঠানে আসা লোকজনকে মারধর করে কনেকে তুলে নেয়ার চেষ্টা চালায়। পরে আমন্ত্রিত অতিথিসহ স্থানীয় লোকজন বখাটেদের ঘিরে ফেলে এবং সাতজনকে গণপিটুনি দিয়ে ঘরের একটি কক্ষে আটকে রেখে পুলিশকে খবর দেয়। এ সময় ২৫ জনের মতো আহত হয়। আহতদের দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

দেবিদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জহিরুল আনোয়ার জানান, জিজ্ঞাসাবাদে আটকরা জানান, নূরীতলা এলাকায় সাংগঠনিক মিটিং আছে বলে নিমসার জুনাব আলী ডিগ্রি কলেজ শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি ইসমাইল ও ছাত্রলীগ নেতা সাকিব তাদের সাতটি মাইক্রোবাসযোগে নিয়ে যান। সেখানে গিয়ে তারা নববধূকে তুলে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি জানতে পারেন। গ্রামবাসীরা তাদের ঘিরে ফেললে ইসমাইল ও সাকিব পালিয়ে যায় বলে আটকরা পুলিশকে জানায়।

ঢাকা টাইমস/৯ফেব্রুয়ারি/প্রতিনিধি/এমআর