এসকে সিনহার বিরুদ্ধে হুদার দুর্নীতির মামলায় প্রতিবেদন ৭ এপ্রিল
সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার (এসকে সিনহা) বিরুদ্ধে দায়ের করা ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার দুর্নীতির মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন পিছিয়ে আগামী ৭ এপ্রিল পুনর্নির্ধারণ করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদারের আদালত প্রতিবেদন দাখিলের নতুন এ দিন ধার্য করেন।
সাবেক বিএনপি নেতা বর্তমানে বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট অ্যালায়েন্সের (বিএনএ) সভাপতি ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা গত বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর শাহবাগ থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে তিনি এসকে সিনহার বিরুদ্ধে তিন কোটি ২৫ লাখ টাকা উৎকোচ দাবি করার অভিযোগ করেন।
মামলায় বলা হয়, ২০০৭ সালে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে নাজমুল হুদা ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়। যার মধ্যে দুর্নীতির একটি মামলা ২০১৬ সালের ২৩ মার্চ হাইকোর্ট বাতিল করেন। পরবর্তীতে ২০১৭ সালের ৭ জুন সুরেন্দ্র কুমার সিনহা দুদকের লিভ টু আপিল খারিজ করেন। এমনই পরিস্থিতিতে একটি পত্রিকায় ‘জামিন ছাড়াই বছর পার নাজমুল হুদা ও স্ত্রী’র শিরোনামে গত বছরের ৩০ মার্চ প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। সেখানে দুদকের লিভ টু আপিল মঞ্জুর হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। পরে আপিল বিভাগে খোঁজ নিয়ে তিনি জানতে পারেন, দুদকের লিভ টু আপিল মঞ্জুর হয়েছে।
এরপর তিনি বুঝতে পারেন, তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা তার জমাদারের মাধ্যমে ২০১৭ সালের ২০ জুলাই ডেকে নিয়ে যান এবং বলেন, একজন সংসদ সদস্য তাকে নগদ দুই কোটি টাকা দিতে চেয়েছেন। যদি একটি মামলায় নাজমুল হুদার সাজা নিশ্চিত করেন, যেন তিনি নির্বাচনে অযোগ্য হন। এস কে সিনহা তাকে (নাজমুল হুদা) আরও বলেন, যদি দুই কোটি টাকা এবং আপিল বিভাগে প্রদত্ত তার আড়াই কোটি টাকার একটি ব্যাংক গ্যারান্টির রিলিজ আবেদনের বিপরীতে ব্যাংক গ্যারান্টির এক কোটি ২৫ লাখ টাকা দেন, তবে তিনি ও তার স্ত্রীর মামলাগুলোয় মুক্তির ব্যবস্থা নেবেন। যদি না দেন, তবে ব্যাংক গ্যারান্টিতে উল্লেখিত হাইকোর্টের মামলার পুনঃশুনানি করবেন এবং ব্যাংক গ্যারান্টি রিলিজের পথ বন্ধ করে দেবেন। এই প্রস্তাবে তিনি সম্মত না হওয়ায় রায় পাল্টে দিয়েছেন এস কে সিনহা।
(ঢাকাটাইমস/২৬ফেব্রুয়ারি/জেডআর/এআর)