ডাকসু নির্বাচন
ছাত্রত্ব না থাকা ভিপি প্রার্থী আব্বাছির মনোনয়ন বাতিল চেয়ে অভিযোগ
আসন্ন ডাকসু নির্বাচনে শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল সংসদের সহ-সভাপতি (ভিপি) প্রার্থী সাইফুল্লাহ আব্বাছির মনোনয়ন বাতিল চেয়ে অভিযোগ দাখিল করেছেন ভিপি পদে স্বতন্ত্র এক প্রার্থী।
শনিবার দুপুরে হল অফিসে আব্বাছির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন মো. সোলায়মান ইসলাম নামের ওই প্রার্থী। অভিযোগপত্র জমা নিতে হল প্রশাসন বিলম্ব করেছেন বলেও অভিযোগ তার।
সোলায়মান জহুরুল হক হল সংসদের সহ-সভাপতি (ভিপি) প্রার্থী সাইফুল্লাহ আব্বাছির বিরুদ্ধে তথ্য গোপনের অভিযোগ এনেছেন। ছাত্রত্ব না থাকার পরেও তার ভিপি পদে প্রার্থীতার বৈধতা নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থী ও অন্য প্রার্থীর মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে।
১১ ফেব্রুয়ারি ডাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মানুযায়ী, তফসিল ঘোষণার আগে যদি কোন ছাত্রের ফলাফল প্রকাশ হয় তাহলে তিনি ডাকসু বা হল সংসদে নির্বাচন করতে পারবেন না।
কিন্তু জহুরুল হক হল সংসদে ছাত্রলীগের প্যানেলে ভিপি (সহ-সভাপতি) প্রার্থী সাইফুল্লাহ আব্বাছির মাস্টার্সের ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে গত ২৮ জানুয়ারি। নিয়ম অনুযায়ী, তিনি ভোটার বা প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা হারিয়েছেন। তবে রবিবার দেওয়া ডাকসু নির্বাচনে বৈধ প্রার্থীদের তালিকায় তার নাম রয়েছে।
এই নিয়ে গেল বৃহস্পতিবার ‘হল সংসদে ছাত্রলীগের দুই প্রার্থীর ছাত্রত্ব নেই’শিরোনামে দৈনিক ঢাকাটাইমস অনলাইনে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
প্রতিবেদনে হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন বলেছিলেন, ‘কোনো প্রার্থী লিখিত অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেয়া হবে’। তারই প্রেক্ষিতে শনিবার আব্বাছির বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন সোলায়মান।
অভিযোগপত্র পাওয়ার বিষয়টি দৈনিক ঢাকাটাইমকে নিশ্চিত করেছে হল প্রশাসন। এ বিষয়ে জহুরুল হক হলের রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, ‘আমরা তার অভিযোগপত্র হাতে গ্রহন করেছে।’
অভিযোগপত্রে সোলায়মান বলেন, ‘সাইফুল্লাহ আব্বাছি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তার রেজিস্ট্রেশনের নম্বর ২০১২-৮১৪৬৮৮। গত ২৮ জানুয়ারি তার মাস্টার্স ফাইনাল পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে, কিন্তু তিনি বিষয়টি হল প্রশাসনকে অবহিত করেননি।
‘ফলে আব্বাছির ছাত্রত্ব না থাকলেও প্রার্থীতা বৈধ বলে গণ্য হয়। ডাকসু ও হল ছাত্র সংসদ গঠনতন্ত্রের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এমতাবস্থায় আমি এই তথ্যটি হল প্রশাসনকে বিবেচনায় নিয়ে সাইফুল্লাহ আব্বাছির প্রার্থীতা বাতিল করার জন্য আবেদন করেছি।’
সোলাইমান আরো বলেন, ‘হল প্রশাসন বলেছিল নয়টা থেকে বারোটা পর্যন্ত অভিযোগপত্র জমা নেওয়া হবে। এজন্য সকাল সাড়ে নয়টায় হল অফিসে অভিযোগপত্র জমা দিতে যাই।’
‘কিন্তু অফিসের কর্মকর্তারা আমার অভিযোগপত্র জমা নিতে চায়নি। প্রাধ্যক্ষকে ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। হলের রিটার্নিং কর্মকর্তাকে কল দিলে তিনি অভিযোগপত্র হল অফিসে জমা দিতে বলেন। এরপর দুপুর পৌনে বারোটার দিকে আমি অভিযোগপত্র জমা দিই।’
স্বতন্ত্র এ প্রার্থীর অভিযোগ, প্রার্থীতা তুলে নেয়ার জন্য তাকে বিভিন্ন জায়গা থেকে ফোন করে চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় এক প্রার্থীকে নির্বাচিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।