শ্রমিক দিবসে যে বার্তা দিলেন শাকিব-অপু
১ মে বিশ্বের ৮০টি দেশে পালিত হয় শ্রমিক দিবস। দিনটিকে ঘিরে বাংলাদেশেও ছিল নানা আয়োজন ও কর্মসূচি। পাশাপাশি ঐতিহাসিক এ দিনটি এবং খেটে খাওয়া শ্রমিকদের নিয়ে বিনোদন ও খেলার জগতের তারকারা সোশ্যাল মিডিয়ায় দেন নানা স্ট্যাটাস। তাদেরই অন্যতম সাবেক তারকা দম্পতি শাকিব খান ও অপু বিশ্বাস।
শ্রমিক দিবসের দিনে শাকিব খান তার ফেসবুক পেজে লিখেন, ‘মহান মে দিবসে জয় হোক প্রতিটি মেহনতি মানুষের। পৃথিবীর সকল খেটে খাওয়া মানুষের প্রতি রইল শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।’ অপু বিশ্বাস তার ফেসবুকে লিখেন, ‘শ্রমিক দিবসে একটাই প্রার্থনা- শিশু শ্রমিকগুলো হাতুড়ি ছেড়ে কলম ধরুক। শুভ শ্রমিক দিবস।’
বাংলা চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় জুটিদের অন্যতম শাকিব খান ও অপু বিশ্বাস। বলা হয়, সালমান শাহ-শাবনূর জুটির পর তাদের জুটিই দর্শকদের কাছে সবচেয়ে বেশি গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছিল। একসঙ্গে ৭০টিরও বেশি ছবিতে অভিনয় করেছেন তারা। বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে যেটা একটা রেকর্ড। একসঙ্গে দীর্ঘদিন কাজ করতে গিয়ে দুজন দুই ধর্মের হওয়া সত্ত্বেও তারা প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন।
শাকিব-অপুর সেই প্রেমের পূর্ণতা পায় ২০০৮ সালে। ওই বছর গোপনে বিয়ে করেছিলেন তারা। দীর্ঘ ৯ বছর পর তাদের সংসারে আসে একমাত্র সন্তান আব্রাহাম খান জয়। এই খবরটিও গোপন করে রাখা হয়। পরে ২০১৭ সালে একটি বেসরকারি টেলিভিশনের লাইভ অনুষ্ঠানে এসে সবকিছু ফাঁস করে দেন অপু বিশ্বাস। জানান, শাকিবের সঙ্গে কবে কোথায় তার বিয়ে হয়েছিল।
এই ঘটনায় শাকিব প্রথমে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখালেও পরে সবকিছু মেনে নেন এবং অপুর সঙ্গে সংসার করবেন বলে জানান। কিন্তু সেই সুখের ঘর আর বাঁধা হয়নি। ২০১৭ সালের ২২ নভেম্বর একাধিক অভিযোগ এনে অপুকে তালাকের নোটিশ পাঠান শাকিব। তারকা এ জুটির সংসার টেকাতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন তিনবার সালিশি বৈঠক ডাকলেও কোনো কাজ হয়নি। সেখানে অপু হাজির হলেও দেখা মেলেনি শাকিবের।
গত বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি শাকিবের তালাকের নোটিশ পাঠানোর ৯০ দিন পূর্ণ হয়। আইনত ওইদিন তাদের তালাক কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। গত বছরের ১২ মার্চ ডিএনসিসি তৃতীয় দফায় সালিশি বৈঠক বসায়। ওইদিনও দুই তারকার পরিবার সমঝোতায় না আসায় তাদের তালাক পাকাপোক্ত হয়। সেই থেকে শাকিব-অপু দুই পথের পথিক। তবে ছেলে জয়ের সৌজন্যে মাঝে মাঝে তাদের দেখা হয়।
ঢাকাটাইমস/২ মে/এএইচ