দেশ এখন ভুল অর্থনীতিতে চলছে: ইব্রাহিম খালেদ

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৮ মে ২০১৯, ২১:৩২ | প্রকাশিত : ২৮ মে ২০১৯, ২১:১৬

বাংলাদেশ এখন ভুল অর্থনীতিতে চলছে মন্তব্য করে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ বলেছেন, ‘কৃষকের কাছ থেকে কমদামে পণ্য কিনে নেয় সরকারের মদদপুষ্ট গোষ্ঠী। এ গোষ্ঠী কম দামে পণ্য কিনে বেশি দামে বিক্রি করে।’ এজন্য দাবি আদায়ের লক্ষ্যে কৃষকদের সংগঠিত হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত ‘ধানসহ কৃষিপণ্যের মূল্য: চ্যালেঞ্জ ও করণীয়’ শীর্ষক জাতীয় সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন।

খাদ্য অধিকার বাংলাদেশের ভাইস চেয়ারম্যান খোন্দকার ইব্রাহীম খালেদ বলেন, ‘উৎপাদনকারীদের কাছ থেকে কম দামে কিনে নেয় কারা। কিনে নেয় একটি শক্তিশালী গোষ্ঠী যারা সরকারের মদদপুষ্ট। আমি শুধু আওয়ামী লীগের কথা বলছি না, সব সরকারের সময় এটা হয়। তারা তিনশ টাকায় কিনে নিয়ে বিক্রি করছে ৬০০ টাকা থেকে ৭০০ টাকায়। এই মধ্যস্বত্বভোগী আছে এটা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। এই মধ্যস্বত্বভোগীরা শক্তিশালী। এই শক্তিকে শক্তি দিয়ে মোকাবেলা করতে হবে।’

খোন্দকার ইব্রাহীম খালেদ বলেন, ‘উৎপাদনকারীদের কাছ থেকে কম দামে কিনে নিতে পারে কারণ কৃষকরা যত অসংগঠিত এত অসংঘটিত কেউই নেই। যারা শক্তি দেখাতে পারে তাদেরটা কিন্তু আদায় হয়। শ্রমিকরা রাস্তায় আসে মারামারি করে তাদের দাবি আদায় হয়। দেখেন খুলনার পাটকল শ্র্রমিক ওরা আজ চেক পেয়ে গেছে। কৃষকরা সেটা করতেও পারে না, চেকও পায় না।’

ইব্রাহীম খালেদ বলেন, ‘কৃষকদের রাজনীতিতে আসতে হবে। রাজনীতিতে শ্রমিক নেতা হয়ে বড় মন্ত্রী হয়ে যায়। তার আদম বেপারীও মন্ত্রী হয়ে যায় আপনি (কৃষক) মন্ত্রী হন না। আপনি মন্ত্রী হলে খারাপ কোথায়। হন না কেন। আপনি রাজনীতিতে যান না।’

ফসলের ন্যায্যমূল্য পেতে কৃষকের সমবায় গড়ে তোলার পরামর্শ দিয়ে খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ বলেন, ‘আপনারা স্থানীয়ভাবে সমবায় গড়ে তুলতে পারেন। ছোটদের সংগঠিত হতে হবে। ক্ষুধা লাগলে নিজেরটা নিজেই খেতে হয়। কেউ খাইয়ে দেয় না। বাংলাদেশে একটু হইচই করলে কিছু পেয়ে যায়। আপনি হইচই করলে আজকে আপনাকে (কৃষক) মিটিং করতে হতো না। আপনি আদায় করে নিতে পারবেন। একটু সংগঠিত হোন। ওই যে মধ্যস্বত্বভোগী আপনার ৫০০ থেকে ৬০০ টাকার ফসল দুইশ টাকায় কিনে নেয় । ওদেরকে উৎখাত না করা পর্যন্ত আপনার নিশ্চয়তা হবে না। ওদেরকে উৎখাত আপনি আইন দিয়ে করতে পারবেন না। কারণ আইন ওদের পক্ষে। আপনাকে শক্তি অর্জন করে ওকে শক্তি দিয়ে সরাতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর অর্থনীতিতে ফিরিয়ে আসতে হবে। না হলে সমাজে হতাশা আসবে। এখন শুরু হয়েছে এই এত আত্মহত্যা আগে দেখিনি। যখন হিংসে হয়, যখন দেখে একজন বড় হয়ে গেছে তখন এসব হয়। এখন মানসিক রোগ বেড়ে গেছে। আমরা আগে যখন গরিব ছিলাম তখন কিন্তু এত আত্মহত্যা ছিল না। ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধুর আমলে ওই বছর বৈষম্য ছিল দশমিক দুই চার। মানে কোনো বৈষম্য ছিল না। সেই জন্য তখন লোকের কষ্ট ছিল কিন্তু হিংসা ছিল না। সামাজিকভাবে অস্থিরতা ছিল না। এখন বৈষম্য বৃদ্ধি পেয়েছে, যা পৃথিবীতে প্রথম। ধনী বাড়ার বৃদ্ধিতেও পৃথিবীতে প্রথম।’

‘খাদ্য অধিকার বাংলাদেশ’ ও ‘পিকেএসএফ’ এর চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সংলাপে সাবেক কৃষি সচিব আনোয়ার ফারুক, বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সাবেক গবেষণা পরিচালক ড. মো. আসাদুজ্জামান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক, ড. সায়েমা হক বিদিশা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

(ঢাকাটাইমস/২৮মে/জেআর/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

অর্থনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

অর্থনীতি এর সর্বশেষ

সোনালী ব্যাংকের শুদ্ধাচার বাস্তবায়ন সংক্রান্ত নৈতিকতা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

সেবা প্রত্যাশী টার্গেট গ্রুপের সঙ্গে বিএইচবিএফসি’র মতবিনিময় সভা

টেকসই অনুশীলনের মাধ্যমে প্রবৃদ্ধির হটস্পট হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে দেশ: শিল্পমন্ত্রী

পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের জন‌্য নতুন প্রডাক্ট চালু করেছে জনতা ক্যাপিটাল

গ্রামীণফোন এবং টিভিএস অটো বাংলাদেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারক

এসবিএসি ব্যাংকের ১১তম বর্ষপূর্তিতে স্মার্ট ব্যাংকিং সার্ভিস উদ্বোধন

এনআরবি ব্যাংক এবং এ এম জেড হাসপাতালের মধ্যে চুক্তি 

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ফুটবল টিমের জার্সি উন্মোচন

বে গ্রুপের চেয়ারম্যান শিল্পপতি শামসুর রহমান মারা গেছেন

দেশে রিজার্ভ কমে এক দশকের মধ্যে সর্বনিম্ন

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :