ব্যস্ততা বাড়লেও আনন্দ কমেছে মুন্সীগঞ্জের কামারদের

আরাফাত রায়হান সাকিব, মুন্সীগঞ্জ
 | প্রকাশিত : ০৯ আগস্ট ২০১৯, ১০:১৪

মুন্সীগঞ্জে পবিত্র ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে পশু কোরবানিতে ব্যবহৃত উপকরণ তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কামাররা। কোরবানির ঈদ আসলেই বটি, ছুরি, চাপাতিসহ বিভিন্ন হাতিয়ারের চাহিদা বৃদ্ধি পায়। এতে বেঁচা-বিক্রি বৃদ্ধি ও লাভ বেশি হওয়া এ সময়টিতে উৎফুল্ল থাকেন কামাররা। তবে বিগত বছরের তুলনায় বর্তমানে কয়লার দাম দ্বিগুণ ও লোহার বৃদ্ধি পাওয়ায় সরঞ্জাম তৈরিতে বেশি খরচ হচ্ছে। এতে খরচ পুষিয়ে লাভ বেশি হচ্ছে না মুন্সীগঞ্জের কামারদের। ফলে ব্যস্ততা বাড়লেও কমেছে কামারদের ঈদ আনন্দ।

সরজমিনে মুন্সীগঞ্জের সদর ও টঙ্গীবাড়ী উপজেলা হাসাইল, আব্দুল্লাপুর ও দিঘীরপাড় বাজারসহ কয়েকটি বাজারে গিয়ে দেখা যায় চাপাতি, ছুরি, বটিসহ বিভিন্ন হাতিয়ার তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছে কামাররা। হাতুড়ি দিয়ে লোহা পিটিয়ে দেয়া হচ্ছে নানা আকৃতি। কামারপাড়াজুড়ে হাতুরির টং টাং আওয়াজ। দিন-রাতে সমানতালে তৈরি হচ্ছে কোরবানির কাজে ব্যবহৃত ছোট বড় উপকরণ। পুরানো উপকরণ জং ছাড়িয়ে নতুন করার কাজও চলছে।

দিঘীরপার বাজারের কামার সুমন মন্ডল ঢাকা টাইমসকে জানান, ২৫ বছর যাবত এই কাজ করি, একটি চাপাটি তৈরিতে বর্তমানে ৩০০ থেকে ৪০০ খরচ হচ্ছে। বিক্রি করা যায় ৫০০ টাকায় চাহিদা বেশি থাকলে কিছুটা বেশি। এতে পরিশ্রম পুষিয়ে লাভ বেশি হচ্ছে না।

গোপাল মন্ডল জানান, তিনিও ১০-১২ বছর যাবত একাজে যুক্ত আছেন, গতবছর প্রতিবস্তা কয়লা ১২০০ টাকা ছিল, এবছর প্রতিবস্তা কয়লা ২৪০০ থেকে ২৫০০ টাকা ধরে ক্রয় করতে হচ্ছে। কয়লার দাম বেশি হওয়ায় উৎপাদন খরচ বেশি তাই আমাদের লাভ কম।

কামার শিল্পীরা জানান, এবছর চাপাতি ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, ছুরি ৪০ থেকে ২০০ টাকা, খিলানি ছুরি ৪০ টাকা ধরে বিক্রি করছেন তারা। পাশাপাশি আকৃতি অনুযায়ী বিভিন্ন দামে বিক্রি করছেন বটি ও দা।

বিক্রেতা রিপন কর্মকার জানান, কোরবানির ঈদ ঘনিয়ে আসলে প্রচুর পরিমাণে দা-বটি চাহিদা ও অর্ডার থাকে, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর অর্ডারও অনেক কম।

(ঢাকাটাইমস/৯আগস্ট/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :