রিমান্ড শেষে জিকে শামীমের সাত দেহরক্ষী কারাগারে
অস্ত্র মামলায় চার দিনের রিমান্ড শেষে এসএম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমের সাত দেহরক্ষীকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। এছাড়াও একই ঘটনায় দায়ের করা মানিলন্ডারিং আইনের মামলায় সাত দেহরক্ষীকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদনও মঞ্জুর করেছে পৃথক আদালত।
বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম হাবিবুর রহমান চৌধুরী আসামিদের জামিনের আবেদনের শুনানি রবিবার নির্ধারণ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এদিন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর আব্দুর রহমান হাওলাদার আসামি পক্ষে জামিনের আবেদন করেন। তবে বিচারক এ আইনজীবীকে আগামী রবিবার জামিন শুনানি করতে অনুরোধ করলে তিনি রাজি হওয়ায় বিচারক সে দিন ধার্য করেন।
সাত দেহরক্ষী হলেন- মো. দেলোয়ার হোসেন, মো. মুরাদ হোসেন, মো.জাহিদুল ইসালাম, মো.শহিদুল ইসলাম, মো.কামাল হোসেন, মো. সামসাদ হোসেন ও মো. আমিনুল ইসলাম।
অপরদিকে একই ঘটনায় দায়ের করা মানিলন্ডারিং আইনের মামলায় সাত দেহরক্ষীকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন ঢাকা মহানগর হাকিম দেবদাস চন্দ্র অধিকারী। শুনানি শেষে গ্রেপ্তার দেখানোর এ আদেশ দেন তিনি।
রাষ্ট্রপক্ষে সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর আজাদ রহমান গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন।
গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদনে মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, গত ২০ সেপ্টেম্বর গুলশানের নিকেতনে নিজ কার্যালয় থেকে রিমান্ডে থাকা আসামী জি কে শামীমসহ সাত দেহরক্ষীকে আটকের সময় নগদ ১ কোটি ৮১ লাখ টাকা, ৯ হাজার ইউএস ডলার, ৭৫২ সিঙ্গাপুর ডলার, জি কে শামীমের মায়ের নামে ট্রাস্ট ব্যাংক নারায়ণগঞ্জ শাখায় ২৫ কোটি টাকার করে ৪টি এবং ২৭ লাখ ৬০ হাজার টাকার একটি ও শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক মহাখালী শাখায় ১০ কোটি টাকা করে ৪টি এফডিআর, শামীমের নামীয় ট্রাস্ট ব্যাংক কেরানীগঞ্জ শাতায় ২৫ কোটি টাকার একটি এফডিআর, জব্দ করা হয়। এছাড়া ৩৪টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের চেকবই উদ্ধারও হয়। আসামিদের গ্রেপ্তারের সময় বিপুল পরিমাণ অর্থের উৎস সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তারা কোন সদুত্তর প্রদান বা বৈধ কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। তারা উপস্থিত সাক্ষীদের সামনে এ বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচার করার জন্য মজুদ রেখেছিল বলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেদের সামনে স্বীকার করায় তাদের বিরুদ্ধে নায়েব সুবেদার মো. মিজানুর রহমান মামলাটি দায়ের করেন। তাই এজাহারনামীয় এ আসামিদের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো প্রয়োজন।
মামলাটিতে জি কে শামীমও আসামি। তাকেও পরবর্তীতে গ্রেপ্তার দেখানো হবে বলে জানা গেছে।
অন্যদিকে অস্ত্র মামলায় ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ফজলুল হক সাত দেহরক্ষীকে আদালতে হাজির করে ফেরত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, চার দিনের রিমান্ডে নিয়ে আসামিদের মামলার ঘটনা সংক্রান্তে সুনিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা মামলা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করেছেন। তাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যাদি মামলার তদন্তকার্যে যথেষ্ট সহায়ক হবে। তাদের দেয়া তথ্যাদি ও নাম-ঠিকানা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। আসামিরা জামিনে মুক্তি পেলে পলাতক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এর আগে গত ২১ সেপ্টেম্বর এ সাত আসামির চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ওই দিন জি কে শামীমের অস্ত্র ও মাদকের দুটি মামলায় ৫ দিন করে ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
ঢাকাটাইমস/২৬সেপ্টেম্বর/ইএস