প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ফি আদায় বন্ধসহ তিন দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৮ এপ্রিল ২০২০, ২৩:১২

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অনলাইননির্ভর সব কর্মকাণ্ড বন্ধ করাসহ তিন দফা দাবি করেছে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ।

বুধবার রাতে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক মো. তুহিন ফারাবী স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এমন দাবি করা হয়। বিজ্ঞপ্তিটির অনুলিপিটি শিক্ষা মন্ত্রণায়লসহ সকল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) ও ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটিকে পাঠানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈশ্বিক দুর্যোগ ঘোষিত করোনাভাইরাস (কোভিড ১৯) এর প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশেও। প্রতিদিন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। সরকারিভাবে ঘোষণা করা হয়েছে দুর্যোগকালীন সাধারণ ছুটি। এরই ধারাবাহিকতায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে। এতে দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বন্ধ থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) এর পরামর্শে বেশিরভাগ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইননির্ভর ক্লাস নেয়া শুরু করেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, কিন্তু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অধিকাংশ শিক্ষার্থী ঢাকার বাইরে বা গ্রামাঞ্চলের হওয়ায় এবং সে সব অঞ্চলে ইন্টারনেট গতি সীমিত ও নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা দুর্বল হওয়ায় শিক্ষার্থীরা অনলাইন ক্লাসের সুবিধা গ্রহণ করতে পারছে না। অধিকন্তু অনলাইন ক্লাসে সাধারণ শিক্ষার্থীরা অভ্যস্ত না হওয়ায় এর সাথে মানিয়ে নেওয়াও কষ্টসাধ্য হচ্ছে। এদিকে বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের কাছে সেমিস্টার ফি দাবি করছে। এই দুর্যোগে প্রায় প্রতিটি শিক্ষার্থীর পরিবারই সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের পক্ষে এ দুর্যোগকালীন সময়ে কোনোভাবেই সেমিস্টার ফি পরিশোধ করা সম্ভব নয়। এই অবস্থায় 'বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ' সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার পক্ষ থেকে দেশের সকল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবারের প্রতি উদার হওয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে।

সেই সাথে নিম্নোক্ত দাবি-দাওয়াগুলো গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। দাবিগুলো হচ্ছে- ১. সকল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইন নির্ভর সকল কর্মকাণ্ড (ক্লাস, পরীক্ষা, ভর্তি) বন্ধ করতে হবে। ২. এই দুর্যোগ থাকাকালীন সময়ে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কোনো প্রকার ফি আদায় করা যাবে না এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে চলমান সেমিস্টার থেকে কার্যক্রম শুরু করতে হবে। ৩. বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ তহবিল থেকে অস্বচ্ছল পরিবারের শিক্ষার্থীদের জন্য দুর্যোগকালীন ফান্ড তৈরি ও বিতরণ করতে হবে।

(ঢাকাটাইমস/০৮এপ্রিল/কারই/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

শিক্ষা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিক্ষা এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :