ফসলের মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন কৃষি কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন

আজহারুল হক, ময়মনসিংহ
  প্রকাশিত : ০১ মে ২০২০, ২১:০৩| আপডেট : ০১ মে ২০২০, ২৩:০১
অ- অ+

করোনাভাইরাসের প্রভাবে সৃষ্ট বর্তমান পরিস্থিতি চলমান থাকলে দেশে দেখা দিতে পারে খাদ্য সংকট। অন্যদিকে চিরস্থায়ী কৃষির উপর দেশের জাতীয় অর্থনীতি দাঁড়িয়ে আছে। নানা রকম প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং আবহাওয়ার প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে কৃষিকে টিকে থাকতে হয়। গুরুত্বপূর্ণ এই খাতে অবদান রাখা কৃষক ও কৃষি কর্মকর্তাদের অবদান খুব কমই আলোচিত হয়। চলমান পরিস্থিতিতে ময়মনসিংহে একজন সরকারি কর্মকর্তা কৃষি নিয়ে সক্রিয় থেকে ব্যাপক কাজ করছেন। তিনি হলেন গফরগাঁও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন।

পুরো টিম নিয়ে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চারিদিকে স্তব্ধ থমথমে অবস্থার মধ্যেও দিন-রাত ছুটে চলেছেন নাসির উদ্দিন। গফরগাঁও উপজেলার প্রায় ছয় লাখ মানুষের প্রতি দায়িত্ববোধ থেকে নিবেদিত প্রাণ হয়ে কাজ করছেন তিনি। কৃষকের সঙ্গে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন এই কৃষি কর্মকর্তা ও তার দল।

এর আগেও কৃষি কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন তার পুরো জনবল নিয়ে একইভাবে ছুটেছেন কৃষকের মাঠে। তবে এবারের ছুটে চলার মাঝে আবেগ আছে। আসন্ন বিপদ বিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রী এখন থেকেই খাবার মজুদ করে রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন এবং আহ্বান জানিয়েছেন যাতে এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদী না থাকে। প্রতিটি বাড়ির আনাচে কানাচে বিভিন্ন ধরনের ফল ও সবজি দিয়ে ভরিয়ে ফেলার নির্দেশনাও দিয়েছেন। যে কোনো উপায়ে হোক খাদ্য উৎপাদন অব্যাহত রাখতে হবে। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ব্যবস্থা নিতে পারলে দেশের প্রয়োজন মিটানোর পাশাপাশি অন্যদেরও সহযোগিতা করা সম্ভব হবে। সেই লক্ষেই কাজ করে যাচ্ছেন নাসির উদ্দিন।

চলমান সংকটে সরকারের পক্ষ থেকে সময়ে সময়ে জারি হওয়া প্রজ্ঞাপনে সাধারণ ছুটি ও যানবাহন নিয়ন্ত্রিত থাকলেও জরুরি সেবা হিসেবে নিষেধাজ্ঞার আওতাবহির্ভুত রাখা হয়েছে কৃষি সেক্টরের সব কার্যক্রম ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব কর্মকর্তা-কর্মচারী-শ্রমিক ও পরিবহন ব্যবস্থাকে।

কৃষি অফিসার নাসির উদ্দিন জানান, উপজেলায় এবার বোরো ধানের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮৯ হাজার মেট্রিক টন। তবে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে বাম্পার ফলন হয়েছে। তিনি জানান, বর্তমানে মাঠে চলমান রয়েছে বোরো ধান, ভুট্টা, শসা, চিচিঙ্গা, চালকুমড়া, ঢেঁড়স, পুইশাক, লাউসহ বিভিন্ন শাকসবজি। পরিবর্তিত আবহাওয়ায় ধানের জন্য হুমকি হয়ে রয়েছে কালবৈশাখী ও বিভিন্ন রোগ-বালাই। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বোরো উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা কোনোভাবেই ব্যাহত হওয়া যাবে না। তাই কৃষকদের মাঝে সচেতনতা ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে চলছে সরাসরি ফসলের মাঠে গিয়ে কৃষি পরামর্শ সেবা।

(ঢাকাটাইমস/১মে/কেএম)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
সাইবার স্পেসেও নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ
সারা বিশ্বে মা দিবস পালিত হয় যে নারীর কারণে
চাঁদপুরে তাল গাছ থেকে পড়ে বৃদ্ধের মৃত্যু
পথে দুর্ঘটনায় মৃত্যুর মিছিল, এপ্রিলে ঝরল ৫৮৮ প্রাণ
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা