চাঁদপুরে ২৪ ঘণ্টায় পাঁচজনের মৃত্যু

চাঁদপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ৩০ মে ২০২০, ২৩:৪২

চাঁদপুরে করোনায় আক্রান্ত হয়ে একজন এবং করোনা উপসর্গ (সর্দি, কাশি, জ্বর ও গলাব্যাথা) নিয়ে দুই নারী এবং দুই পুরুষ ব্যক্তি মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার ভোর থেকে শনিবার ভোর পৌঁনে ৪টার মধ্যে এই পাঁচ ব্যক্তির মৃত্যু হয়।

আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে মৃত ব্যক্তিদের স্বজন এবং সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে করোনা উপসর্গ নিয়ে চাঁদপুর শহরের ট্রাকরোডে রোজগার্ডেন নামের ভবনে ছকিনা বেগম (৮০) নামে নারীর মৃত্যু হয়। শুক্রবার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ওই নারীর দাফন সম্পন্ন হয়।

শুক্রবার সকাল ১১টায় শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কের আমজাদ খান বাড়িতে করোনা উপসর্গ নিয়ে মহরম খানের স্ত্রী সাহিদা বেগম (৪৫) মারা যান। বিকালে তার করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহের পর পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

জেলার মতলব উত্তর উপজেলার মোসলেম বেপারী (৬৫) করোনায় আক্রান্ত হয়ে ঢাকা থেকে ফরাজিকান্দি গ্রামে নিজ বাড়িতে আসেন। হোম আইসোলেশনে থাকা অবস্থায় তার অবস্থার অবনতি হয়। এরপর অ্যাম্বুলেন্সে করে মতলব থেকে ঢাকায় চিকিৎসার জন্য নেয়ার পথে শুক্রবার বিকাল ৩টার দিকে তিনি মারা যান।

শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টায় শহরের ট্রাক রোড কাজী অফিস সংলগ্ন চারতলা ভবনে আবুল খায়ের মিজি (৫২) করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যান। তিনি সদর উপজেলার মৈশাদী ইউনিয়নের মৈশাদী গ্রামের শহীদ উল্লাহ মিজির ছেলে। তিনি গত চারদিন জ্বর, সর্দি ও কাশি নিয়ে ভুগছিলেন। শনিবার (৩০ মে) সকাল ৯টায় উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ করোনার নমুনা সংগ্রহের পর দুপুর ১২টায় নিজ বাড়িতে জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন করা হয়।

সর্বশেষ শনিবার ভোর পৌঁনে ৪টার দিকে করোনা উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ফরিদগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আবুল হাসনাত খান (৫৫)। রাত ১২টার দিকে নিজ বাসায় তার শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। শনিবার (৩০ মে) সকাল ১০টার দিকে তার করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করেন স্বাস্থ্য বিভাগ। পরে জানাযা ও দাফনের জন্য দুপুরের দিকে তার নিজ বাড়ি উপজেলার দক্ষিণ রাজাপুর গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়।

চাঁদপুরের সিভিল সার্জন ডা. সাখাওয়াত উল্লাহ বলেন, কোনো ধরনের মৃত্যুই আমাদের কাম্য নয়। কোনো ব্যক্তির করোনা উপসর্গ দেখা দিলে চিকিৎসা না নিয়ে যদি তিনি বাড়িতেই থাকেন, সেটা খুবই দুঃখজনক। কারণ আমরা তাদেরকে চিকিৎসা দেয়ার সুযোগও পাচ্ছি না। তারা শেষ মুহূর্তে হাসপাতালে এলেও মৃত্যুবরণ করছেন। এই ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া খুবই জরুরি।

(ঢাকাটাইমস/৩০মে/কেএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :