‘বঙ্গবন্ধুর দর্শন সকল সময়ে মানুষকে কেন্দ্র করে আবর্তিত ছিল’
বঙ্গবন্ধুর দর্শন সকল সময়ে মানুষকে কেন্দ্র করে আবর্তিত ছিল। তাই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ কেবল সভা-সমাবেশ ও বক্তৃতার মধ্যে সীমিত না রেখে আগামী প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য সবাইকে নিরলসভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন পিকেএসএফ-এর চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ।
স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদত বার্ষিকীতে ‘জাতীয় শোক দিবস ২০২০’ পালন উপলক্ষ্যে পিকেএসএফ আজ একটি ভার্চুয়াল আলোচনা সভার আয়োজন করে।
সভাপতির বক্তব্যে ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ এ আহ্বান জানান। তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে হলে রাষ্ট্র ও সমাজের বিভিন্ন স্তরে ধান্দাবাজদের দৌরাত্ম্য নির্মূল করা আবশ্যক।
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বী মিয়া, এবং আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য আরমা দত্ত। স্বাগত বক্তব্য রাখেন পিকেএসএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ।
ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বী মিয়া ১৫ আগস্টকে জাতির ইতিহাসে একটি কালো দিন হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, স্বাধীনতার পর মাত্র সাড়ে তিন বছর দেশ পরিচালনার সুযোগ পেয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু, আর এই অল্প সময়েই তিনি যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনে অনেকখানি এগিয়ে গিয়েছিলেন। তিনি যদি আরও সুযোগ পেতেন তবে বাংলাদেশের উন্নয়ন আরও ত্বরান্বিত হতো বলে তিনি মন্তব্য করেন। স্বাধীনতাবিরোধী যেসব শক্তি পঁচাত্তরের এই নির্মম হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিলো, তারা আজও এই দেশে নানাভাবে সক্রিয় আছে উল্লেখ করে, তিনি বলেন, এসব অপশক্তি থেকে সবাইকে সাবধান থাকতে হবে, এবং বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।
ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পিকেএসএফ-এর পরিচালনা পর্ষদের সদস্য রাষ্ট্রদূত মুন্সী ফয়েজ আহমদ, অরিজিৎ চৌধুরী, পারভীন মাহমুদ ও নাজনীন সুলতানা, পিকেএসএফ-এর উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. জসীম উদ্দিন। অনুষ্ঠানে পিকেএসএফের বিভিন্ন সহযোগী সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
(ঢাকাটাইমস/১৫আগস্ট/জেআর/ইএস)