মাইক্রোওভেনে গরম করা খাবার কতটা নিরাপদ?
অনেক পরিবারে স্বামী-স্ত্রী দুজনেই চাকরি করেন। বাড়িতে রান্নাবান্নার জন্য রাঁধুনি হয়তো রয়েছে। কিন্তু মুখের সামনে তিনি তো আর সবসময় গরম খাবার ধরবেন না। তাই ভরসা মাইক্রোওয়েভ। মধ্যবিত্ত হোক কিংবা উচ্চবিত্ত তাই এখন সবার বাড়িতেই মাইক্রোওয়েভ থাকবেই। কিন্তু সময়ে অসময়ে মাইক্রোওয়েভে গরম করা খাবার তো খাচ্ছেন। তবে সেই খাবার নিরাপদ কি না তা ভেবে দেখেছেন কখনো? জেনে নিন কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশেষজ্ঞদের দাবি, বেশিরভাগ গৃহিণীরই অভ্যাস সবজি কাটার পরেও ধোয়ার। তার ফলে পুষ্টিগুণ কিছুটা কমেই যায়। আবার তার উপর মাইক্রোওয়েভে খাবার গরম কিংবা রান্না করলে তার পুষ্টিগুণ আরও কমে। কারণ, মাইক্রোওয়েভে খাবার গরমের সময় ইলেকট্রো ম্যাগনেটিক রশ্মি বেরোয়। যা খাদ্যগুণ কমিয়ে দেয়। মাইক্রোওয়েভে যে তাপমাত্রা খাবার গরম হয় তাতে ভিটামিন বি১২ নষ্ট হয়।
তবে যেহেতু মাইক্রোওয়েভে খুব কম সময়েই খাবার গরম কিংবা রান্না হয়, তাই সেক্ষেত্রে কিছুটা হলেও ভিটামিন থেকে যায় বলেই মনে করা হচ্ছে। তাই বিশেষজ্ঞদের মতে, খাবারের খাদ্যগুণ বজায় রাখতে চাইলে খুব বেশি ভেজে কিংবা কষে গ্যাস হোক কিংবা মাইক্রোওয়েভে রান্না করা যাবে না।
অনেকেই মাইক্রোওয়েভে খাবার গরম কিংবা রান্না করার ক্ষেত্রে প্লাস্টিকের পাত্র ব্যবহার করেন। বিশেষজ্ঞদের দাবি, যদি মাইক্রোওয়েভ প্রুফ প্লাস্টিকের পাত্র না হয় তবে তাতে খাবার গরম কিংবা রান্না করা অত্যন্ত ক্ষতিকারক। তার ফলে আমাদের শরীরে হরমোনের তারতম্য অথবা হজমের সমস্যাও দেখা দিতে পারে। এছাড়া দীর্ঘদিন ধরে মাইক্রোওয়েভের প্লাস্টিকের বাটিতে গরম করা খাবার খেতে থাকলে হাঁপানি, বন্ধ্যাত্বের মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে। তাই মাইক্রোওয়েভে প্লাস্টিকের পাত্র ব্যবহারের বদলে কাঁচই নিরাপদ বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
মাইক্রোওয়েভে খাবার পুরো অংশ যাতে সম পরিমাণে গরম হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। নইলে তা আমাদের শরীরের জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে। তাই খাবার গরম করার পর কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে খাওয়াই ভাল। তবে বর্তমান ব্যস্ত জীবনে মাইক্রোওয়েভ ছাড়া কোনো গতি নেই।
বিশেষজ্ঞদের মত অনুযায়ী, মাইক্রোওয়েভ ব্যবহার করুন। তবে অবশ্যই মাইক্রোওয়েভের যথোপযুক্ত বাসন ব্যবহার না করে নিজের বিপদ ডেকে আনবেন না।
(ঢাকাটাইমস/১৩সেপ্টেম্বর/জেবি)