তাড়াশে বাদলা রোগে ১৫ গরুর মৃত্যু

শায়লা পারভীন, তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ)
| আপডেট : ১৩ অক্টোবর ২০২০, ১৪:৫৬ | প্রকাশিত : ১৩ অক্টোবর ২০২০, ১৩:৪০

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে বাদলা রোগে অন্তত ১৫টি বাছুর গরু মারা গেছে। গত এক সপ্তাহে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের কৃষকদের এসব গরু মারা যায়। সরকারিভাবে বরাদ্দ এ রোগের প্রতিষেধক ঠিকমতো পাচ্ছেন না বলে এমনটি ঘটছে বলে অভিযোগ করেছেন কৃষক আলামিনসহ আরো অনেকে।

তারা জানান, উপজেলা প্রাণী সম্পদ হাসপাতালের কর্মকর্তাদের উদাসীনতায় তাদের গবাদিপশুর মৃত্যু হচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহে উপজেলার মাধাইনগর ইউনিয়নের ধাপ ওয়াশিন গ্রামের কৃষক ফনির একটি, বড় পুকুরপাড়ের হুজাইফার একটি, বেত্রাশিন গ্রামের আলাউদ্দিনের একটি, ওয়াশীন গ্রামের আলামিনের একটি, একই গ্রামের দুলালের একটি ও শহিদুল ইসলাম মনিরের একটিসহ বিভিন্ন গ্রামে প্রায় ১৫টির মতো বাছুর বাদলা রোগে মারা গেছে।

কৃষকরা অভিযোগ করে জানান, তাড়াশ প্রাণিসম্পদ বিভাগ গ্রামে গ্রামে ঠিকমত বাদলা রোগের প্রতিষেধক দিচ্ছেন না। এমনকি সংশ্লিষ্ট ভ্যাটেনারি সার্জন তৃণমূলে না গিয়ে অফিস চলাকালে তার অফিসে বসে বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধিদের সঙ্গে দরবার করে সময় কাটান।

তাড়াশ প্রাণিসম্পদ হাসপাতালের ভ্যাটেনারি সার্জন শরিফুল ইসলাম জানান, বাদলা রোগ হলে প্রথমে বাছুরের মুখে ঘা হয়, তীব্র জ্বর আসে, পেট ফেঁপে যাওয়ার পাশাপাশি খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দেয় এবং এক পর্যায়ে আক্রান্ত বাছুর মারা যায়।

তিনি আরও জানান, তার অফিসে ভিএফএ কর্মীর পদ তিনটি। এর মধ্যে দুটিই শূন্য রয়েছে। ফলে সব জায়গায় একার পক্ষে কাজ করা সম্ভব না। তারপরও পর্যায়ক্রমে মাইকিং করে বিভিন্ন গ্রামে কৃষকের গবাদি পশুকে বর্তমানে বাদলা ও ক্ষুরা রোগের প্রতিষেধক দেওয়া হচ্ছে।

(ঢাকাটাইমস/১৩অক্টোবর/পিএল)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :