এসপির কাছে পরিবারের নালিশ

কিশোরকে যুবক দেখিয়ে জেলে পাঠায় পুলিশ!

ব্যুরো প্রধান, রাজশাহী
 | প্রকাশিত : ২৫ নভেম্বর ২০২০, ১৮:১৭

রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার ১৬ বছরের একজন কিশোরকে প্রেমঘটিত এক মামলার এজাহারে ১৯ বছর দেখানো হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে সংশোধনাগারের বদলে তার স্থান হয়েছে কারাগারে।

এ নিয়ে আজ বুধবার ওই কিশোরের পরিবারের পক্ষ থেকে রাজশাহীর পুলিশ সুপারের (এসপি) কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযোগের সঙ্গে ওই কিশোরের জন্মনিবন্ধন সনদ সংযুক্ত করা হয়।

বাগমারা উপজেলার মাঝিগ্রাম গ্রামের ওই ভুক্তভোগী কিশোর গত ২০ অক্টোবর থেকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী। তার পরিবার বলছে, এজাহারে বয়স বাড়ানো হয়েছে বলে তাকে সংশোধনাগারের বদলে কারাগারে থাকতে হচ্ছে।

এসপির কাছে পরিবারের দেওয়া অভিযোগে বলা হয়েছে, পাশের একডালা গ্রামের এক কিশোরীর সঙ্গে ওই কিশোরের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ ছিল। বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক পরে তাদের বাল্যপ্রেমে গড়ায়। গত ১৯ অক্টোবর মেয়েটি এসএমএস পাঠিয়ে কিশোরকে বাড়ির সামনে গিয়ে তার সঙ্গে দেখা করতে বলে। ছেলেটি সেখানে গেলে মেয়ের পরিবারের লোকজন তাকে মারধর করে। এতে সে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার পর তার বিরুদ্ধে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়।

অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, বাগমারা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ওসমান গণি বাদীপক্ষের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে ওই কিশোরের বয়স বাড়িয়ে ১৯ করেছেন। তিনি মামলার ভালো রিপোর্ট দেবেন বলে ওই কিশোরের পরিবারের কাছে পাঁচ হাজার টাকাও চান। তাকে তিন হাজার টাকা দেওয়া হয়। তিনি কিশোরের মোবাইল ফোন ফেরত দিলেও মেয়েটির পাঠানো এসএমএস ডিলিট করা হয়েছে। এসবের তদন্ত দাবি করেছে কিশোরের পরিবার।

এ বিষয়ে কথা বলতে এসআই ওসমান গণির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাক আহম্মেদ বলেন, ‘আমি এই থানায় দুই দিন আগে যোগ দিয়েছি। বিষয়টি জানা নেই। আসামির বয়স কম হলে আদালত তাকে যশোরে কিশোর সংশোধনাগারে রাখতে পারেন। এ ছাড়া রাজশাহী কারাগারেও কিশোর ওয়ার্ডে রাখা হয়।’

এজাহারে ওই কিশোরের বয়স বাড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে ওসি বলেন, ‘এজাহারে হয়তো বাদীই এভাবে লিখেছিলেন। তবে এটি কোনো সমস্যা নয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এটা ঠিক করে নেবেন। অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া গেলে ওই কিশোরের বিরুদ্ধে শিশু আদালতে ‘দোষীপত্র’ দাখিল করা হবে। আর অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া না গেলে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হবে।

(ঢাকাটাইমস/২৫নভেম্বর/মোআ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :