গিরগিটির মতো রঙ বদলায় একাধিক জীব

গিরগিটি যার রঙ বদলানোর বিশেষ খ্যাতি রয়েছে পৃথিবীতে। গিরগিটির রঙ বদলানোর প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ একটি বেঁচে থাকার অভিযোজন মূলক অবস্থা।
গিরগিটি এমন বর্ণ ধারণ করে যাতে করে তারা পার্শ্বস্থ জিনিসের সমবর্ণ হয়ে মিশে যেতে পারে। রঙ পরিবর্তনের একাধিক হলেও আত্মরক্ষায় বেশি রং বদলায়।
এছাড়া বিভিন্ন রকম সংকেত এই বর্ণ পরিবর্তনের মাধ্যমে গিরগিটি তাদের সম প্রজাতির জীবের মধ্যে প্রদান করে যেমন বিপদ সংকেত, খাবারের সন্ধান, অন্য গিরগিটি দেখে ভয় পেলে, বিপরীত লিঙ্গের গিরগিটিকে আকর্ষণ করার জন্য প্রজননের সংকেত বহন করার জন্য নিজের রঙ বদল করে।
গিরগিটি ছাড়াও বিভিন্ন প্রাণীদের মধ্যে রঙ পরিবর্তন দেখা যায়। সামুদ্রিক বিভিন্ন স্কুইড, অক্টোপাস, সাপ, ব্যাঙ, বিভিন্ন পতঙ্গ, মাছ ইত্যাদি প্রাণীদের মধ্যে রঙ বদলানোর প্রবণতা দেখা যায়। স্কুইড এবং অক্টোপাসের মতো গিরগিটি চামড়ার রঙ বদল করে ফেলে না। সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে যে, গিরগিটি রঙ বদলানোর কাজটা তার শরীরের কোষের কাঠামোগত পরিবর্তন ঘটিয়ে করে থাকে।
সি হর্স -সামুদ্রিক একটা প্রাণী যারা রঙ বদলাতে পারে৷ এরা শুধু ভয় পেলেই নয় নিজেদের ভাবনাচিন্তার সময়েও রঙ পরিবর্তন করে৷ এদের ক্রোমেটোফোর্স বলে একটি পদার্থ থাকে শরীরে৷ যার জন্য এরা বিভিন্ন ভাবে বিভিন্ন রঙে নিজেদের বদলে নিতে পারে৷ একেক সময় কয়েক সেকেন্ডে রঙ বদলায় অন্যদিকে সঙ্গীর সঙ্গে মিলনের সময় ধীরে ধীরে রঙ বদলায়৷
গোল্ডেন টরটোয়েজ বিটল একধরণের পতঙ্গ৷ যখন কোনও মানুষ একে স্পর্শ করতে চেষ্টা করে তখন এ রঙ বদলায়৷ ভয় পেয়ে এরা রঙ বদলে চারপাশারে জিনিসের কাছাকাছি রঙ নিয়ে নেয়৷ কখনও ফুলপাতা , কখনও আবার মাটি৷ এই পতঙ্গ নানা সুন্দর রঙের হলেও বিশেষ পরিস্থিতিতে উজ্জ্বল লাল রঙের হয়ে ়যায়৷
আরও সামুদ্রিক জীব রয়েছে যারা রঙ বদলায়৷ এরমধ্যে একটি হল মিমিক অক্টোপাস৷ প্রশান্ত মহাসাগরীয় ক্ষেত্রে এদের দেখতে পাওয়া যায়- এরা খুবই বুদ্ধিমান হয়৷ এদের নরম স্কিনের কারণে এভাবে রঙ বদলাতে পারে৷
প্রশান্ত মহাসাগরীয় ট্রি ফ্রগও রঙ বদলায়৷ এটা উত্তর আমেরিকায় পাওয়া যায়৷ এদের পা খুব চটচটে৷ এরজন্য এরা সহজে একটি গাছ থেকে অন্য গাছে চলে যেতে পারে৷ এরা আশপাশে কোনও বিপদ বুঝলে দ্রুত রঙ বদলে নেয়৷ আশপাশের গাছের সঙ্গে একেবারে মিলে যায়৷ এর মরশুম অনুযায়িও রঙ বদলায়৷ গরমে পাতার সঙ্গে হলুদ হয়ে যায়৷ সাপ দেখলে এক ও দু মিনিটের মধ্যে রঙ বদলায় এরা৷
(ঢাকাটাইমস/২৩ ডিসেম্বর/আরজেড/এজেড)

মন্তব্য করুন