বেনাপোল দিয়ে পাসপোর্টধারীদের যাতায়াত বাড়ছে
বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট দিয়ে ভারত-বাংলাদেশ পাসপোর্টধারী যাত্রীদের যাতায়াত দিন দিন বাড়ছে। বর্তমানে করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিয়ে নতুন মেডিকেল ভিসা ও পুরনো বিজনেস ভিসায় বাংলাদেশিরা ভারত যাতায়াত করা শুরু করেছেন। ভারতীয় যাত্রীরাও ইমপ্লয়মেন্ট ও বিজনেস ভিসায় প্রতিদিন যাত্রীরা আসছেন বাংলাদেশে।
জানা গেছে, প্রতিবছর এ পথে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে প্রায় ৩০ লাখ দেশি-বিদেশি যাত্রী যাতায়াত করে থাকে। এদের থেকে ভ্রমণ কর বাবদ সরকারের রাজস্ব আসে কমপক্ষে ১০০ কোটির কাছাকাছি। গত শুক্রবার মেডিকেল ভিসায় ভারতে গেছেন ৭০২ জন বাংলাদেশি আর ভারত থেকে এসেছেন ১২১ জন। গত ১১ জানুয়ারি থেকে ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে গেছে প্রায় সাড়ে সতের হাজার পাসপোর্ট যাত্রী। ভারত থেকে বাংলাদেশে এসেছেন প্রায় ১২ হাজার পাসপোর্ট যাত্রী। এই এক মাসে ভ্রমণ কর বাবদ সরকারের রাজস্ব এসেছে প্রায় ৯০ লাখ টাকা।
তবে, নিষেধাজ্ঞা শিথিল হলেও শুরু হয়নি টুরিস্ট ভিসায় যাতায়াত। বর্তমানে মেডিকেল ভিসায় যাত্রীর সংখ্যা ৯০ শতাংশ। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে ভারত সরকার গত ১৩ মার্চ বাংলাদেশিদের ভারত ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। পরবর্তীতে একই নিষেধাজ্ঞায় বন্ধ হয়েছিল ভারতীয়দের বাংলাদেশে আসা। এতে বিশেষ করে চিকিৎসা আর বাণিজ্যিক ভিসায় যাতায়াতকারীরা বেশি দুর্ভোগে পড়েন।
ভারতগামী বাংলাদেশি যাত্রী ফিরোজ বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞা শিথিল হওয়ায় চিকিৎসা ও ব্যবসার কাজে ভারতে যাচ্ছি। তবে, মেডিকেল ভিসার মেয়াদ তিন মাস থেকে ছয় মাসের জন্য দিলেও এ ভিসায় মাত্র একবার ভ্রমণের সুযোগ আছে। এতে, প্রয়োজন মিটবে কিনা তা নিয়ে সংশয়ে আছেন রোগীরা।’
বেনাপোল ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্য বিভাগের মেডিকেল অফিসার উৎপলা বিশ্বাস জানান, ভারত-বাংলাদেশ যাতায়াতে দুই দেশের যাত্রীদের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে করোনা পরীক্ষার নেগেটিভ সার্টিফিকেট প্রয়োজন হচ্ছে। এই সার্টিফিকেট নিতে প্রতিদিন ভিড় বাড়ছে।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আহসান হাবিব বলেন, ‘আপাতত মেডিকেল, স্টুডেন্ট আর বিজনেস ভিসায় বাংলাদেশিরা ভারতে যেতে পারছেন। ভারতীয়রা আসছেন ইমপ্লয়মেন্ট ও ব্যবসায়ী ভিসায়। এছাড়া কূটনৈতিক ভিসায়ও যেতে পারবেন যাত্রীরা। মেডিকেল ভিসায় যারা যাচ্ছেন তাদের নতুন ভিসা নিতে হচ্ছে। বিজনেস ও স্টুডেন্ট ভিসার ক্ষেত্রে পুরনো ভিসা কার্যকর হচ্ছে। তবে, সবার ক্ষেত্রে করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট বাধ্যতামূলক।’
(ঢাকাটাইমস/১৫ফেব্রুয়ারি/পিএল)