মাস্ক ছিল, কই গেল বুঝতে পারছি না: ইফতার বিক্রেতা
দেশে করোনার দ্বিতীয় পর্যায়ের সংক্রমণের মধ্যেই রোজা শুরু হওয়ায় অনেককেই ইফতার বিক্রি করছেন। তবে, তাদের স্বাস্থ্যবিধির মানার কোনো বালাই নেই। হাঁচি-কাশি থেকে যেন করোনার জীবাণু যেন না ছড়ায় সেজন্য মাস্ক পরতে বলা হলেও তা মানতে দেখা যাচ্ছে না ইফতারি বিক্রেতাদের।
বৃহস্পতিবার ইফতারের আগে রাজধানীর শ্যামলী মোহাম্মদপুর শিয়া মসজিদ ঘুরে ইফতার বিক্রেতার মুখে মাস্ক না থাকার এ চিত্র দেখা গেছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, স্বাস্থ্যবিধি না মেনে খাদ্যসামগ্রী ক্রয়-বিক্রয় সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলবে বলে জানানো হয়েছে। ইফতার সামগ্রী বিক্রির দোকানিদের বেশিরভাগই মাস্ক ছাড়াই খাদ্যসামগ্রী বিক্রি করছেন। খাবার রাখাও হয়েছে খোলা অবস্থায়।
রাজধানীর শিয়া মসজিদে ইফতার বিক্রেতা রাসেলের কাছে তার মাস্ক না থাকার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভাই এত সময় মাস্ক ছিল। খুলে রাখলাম। গেল কই বুঝতে পারছি না। অন্য যাদের মুখে মাস্ক নেই তারাও রাসেলের মতোই নানান অজুহাত দেখান।
করোনা সংক্রমণ রোধে রাজধানীসহ সারা দেশে দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে সাত দিনের ‘সর্বাত্মক লকডাউন’। এই সময়ে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাহিরে যেতে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। তবে জরুরি প্রয়োজনে বাড়ির বাহিরে যেতে হলে নিতে হচ্ছে পুলিশের মুভমেন্ট পাস। বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে মুভমেন্ট পাস না নিয়ে অনেকে আবার ইফতার কেনার অজুহাতেও বের হচ্ছেন।
সম্প্রতি সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) এক তথ্য মতে, কোভিড-১৯ পরীক্ষার জন্য নমুনা দিয়েছেন এমন মানুষের মধ্যে মিরপুরের রূপনগর ৪৬ শতাংশ মানুষের শরীরে কোভিডের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। যা দেশের যেকোনো থানা এলাকার মধ্যে সর্বোচ্চ। এরপর ৪৪ শতাংশ শনাক্ত রয়েছে আদাবরে। এছাড়া মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি এলাকায় এই হার ৩১ শতাংশের বেশি।
ঢাকাটাইমস/১৫এপ্রিল/আরকে/ ইএস