প্রবাসী কর্মীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দেয়ার দাবি
বিদেশে গিয়ে কোয়ারেন্টাইন ব্যয় বাঁচাতে দেশে প্রবাসী কর্মীদের করোনা টিকায় অগ্রাধিকারে রাখতে দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সি- বায়রার সাবেক সভাপতি আবুল বাশার।
বুধবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর রুনি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসে তিনি এই দাবি জানান। সম্মিলিত সমন্বয় পরিষদের ব্যানারে সংবাদ সম্মেলনটির আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আবুল বাশার বলেন, অভিবাসন খাতের বহুবিধ সমস্যা নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। দেশের অর্থনীতির অধিকাংশ জুড়ে আছে প্রবাসীদের অবদান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রবাসীদের অধিকার নিয়ে সবসময় সজাগ দৃষ্টি রেখেছেন।
তিনি বলেন, ‘বর্তমান শ্রম বাজারে একমাত্র সৌদি আরব ছাড়া সকল দেশে করোনার কারণে শ্রমিক প্রেরণ বন্ধ। সৌদি সরকার তাদের দেশে সার্বিক স্বাস্থ্য সুরক্ষার লক্ষ্যে কিছু নিয়ম চালু করেছে। সেগুলো হলো- বিদেশগামী কর্মীরা অবশ্যই কোভিড টিকা দেয়ার সনদপত্র সাথে নিয়ে যেতে হবে। অন্যথায় তাদেরকে বাধ্যতামূলক সাত দিনের ব্যয়বহুল হোটেল কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে, যার খরচ প্রায় ৭০-৮০ হাজার টাকা।’
‘ইতোমধ্যে আপনারা দেখেছেন বিমান টিকিটের যে উচ্চ মূল্য বিভিন্ন এয়ারলাইন্স নির্ধারণ করেছে তা বহন করতে প্রবাসী কর্মীদের অনেক সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। এই অতিরিক্ত ব্যয়গুলো প্রবাসী কর্মীদের ওপরই বর্তায়। আমরা প্রধানমন্ত্রীর সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই, যাতে বিদেশগামী কর্মীদের টিকেটের মূল্য সহনশীল পর্যায়ে নিয়ে আসা হয়।’
আবুল বাশার বলেন, ‘প্রবাসী কর্মীদের দেশে থাকতেই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দেওয়ার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে তাদের বিদেশ যাওয়ার পথ সুগম করে দিন। এতে করে বর্তমানে ফ্লাইটের জন্য অপেক্ষারত প্রায় ৩০-৪০ হাজার কর্মীর সৌদি আরবের হোটেল কোয়ারেন্টাইন বাবদ জনপ্রতি প্রায় ৭০-৮০ হাজার টাকার অতিরিক্ত খরচ থেকে পরিত্রাণ পাবে।’
বায়রার সাবেক এই সভাপতি বলেন, দেশের রিজার্ভের ৪৫ বিলিয়ন ডলারের মধ্যে প্রায় ২৪ বিলিয়ন ডলার প্রবাসী কর্মীরা পাঠায়। যারা বিদেশ যাচ্ছে তারা সবাই গ্রামের অসহায় কৃষকের সন্তান। তারা জায়গা জমি বিক্রি করে বিদেশ যায়। আমরা যদি এদের টিকা নিশ্চত করে বিদেশ পাঠতে পারি তাহলে অমাদের এই কোয়ারেন্টিনের খরচের টাকাটা দেশে থাকবে। বিদেশগামী কর্মীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা না দিলে একসময় কর্মী যাওয়া বন্ধ হয়ে যাবে বলে আমাদের আশঙ্কা।
তিনি বলেন, ‘সরকার বিদেশগামী কর্মীদের ২৫ হাজার টাকা করে প্রণোদনা ঘোষণা করেছে। কিন্তু আমাদের দাবি প্রণোদনা না দিয়ে দ্রুত টিকার ব্যবস্থা করা হোক। সরকার চাইলে সৌদি আরব অথবা টিকা দাতাসংস্থাগুলো, যেখানে বাংলাদেশি কর্মী যায়, তাদের থেকে টিকার ব্যবস্থা করতে পারে।’
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আবুল বাশার, শাহদাত হোসেন, দিলারা জামান চৌধুরি, লিমা বেগম, এসাক খানসহ প্রমূখ।
(ঢাকাটাইমস/১৬জুন/আরকে/ডিএম)