কে এই পিয়াসা?

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ০২ আগস্ট ২০২১, ০৩:৪৭| আপডেট : ০২ আগস্ট ২০২১, ১৩:৫৩
অ- অ+

গত কয়েক বছরে বেশ কয়েকটি ঘটনায় আলোচনায় এসেছে ‘পিয়াসা’ নামটি। পুরো নাম ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা। মডেল হিসেবে পরিচিত এই নারী নানান অপরাধে জড়িত বলে জানাচ্ছে পুলিশ। এবার উচ্চবিত্তের সন্তানদের ব্ল্যাকমেইলিংয়ে জড়িয়ে অবশেষে বাসায় বিপুল মাদকসহ তিনি আটক হয়েছেন রবিবার রাতে।

রাত ১০টায় বিপুল পরিমাণ মদ, ইয়াবা ও সিসাসহ মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসাকে আটক করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ-ডিবি। রাজধানীর বারিধারার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।

তার বাড়িতে তল্লাশির এক পর্যায়ে বিভিন্ন কক্ষে থাকা বিপুল মদ, ইয়াবা ও সিসা খাওয়ার সরঞ্জাম উদ্ধার হয়। যেগুলো পিয়াসা নিজেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বের করে দেন।

ডিবি পুলিশ বলছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে বারিধারায় পিয়াসার বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। এসময় তিনি বাড়িতেই ছিলেন। পরে বাড়ির প্রতিটা রুম তল্লাশি করে মদ, ইয়াবা ও সিসা সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় পিয়াসাকে আটক করা হয়। আটক হয়েছেন তার আরেক সহযোগীও।

মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা ও তার সহযোগী মরিয়ম আক্তার মৌ ছিলেন সংঘবদ্ধ ব্ল্যাকমেইল চক্রের সদস্য। তারা উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তানদের পার্টির নামে বাসায় ডেকে মদ ও ইয়াবা খাইয়ে আপত্তিকর ছবি তুলতেন। পরে ব্ল্যাকমেইল করতেন বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ ডিবি।

গোয়েন্দারা বলছেন, তারা (পিয়াসা ও মৌ) দিনের বেলায় ঘুমাতেন এবং রাতে এসব কর্মকাণ্ড করতেন। উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তানদের পার্টির নামে বাসায় এনে এভাবেই ফাঁসাতেন।

এর আগে ২০১৭ সালে পিয়াসা নামটি আলোচনায় এসেছিল। উচ্ছৃঙ্খল জীবন যাপন করায় সে বছর তাকে তালাক দেন দেশের প্রথম সারির জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদ সেলিমের ছেলে সাফাত হোসেন। এ নিয়ে সামাজিক মহলে আলোচিত হন তিনি। তবে খবরের পাতায় তার নাম আসে ২০১৯ সালে। সে বছর দিলদার আহমেদ সেলিম তার সাবেক পুত্রবধূর বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন। তার সেই সাবেক পুত্রবধূর নাম ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা। এই পিয়াসাই সেই পিয়াসা। চাঁদা দাবির অভিযোগে ২০১৯ সালের ৫ মার্চ পিয়াসার বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন দিলদার আহমেদ। মামলার পর ঢাকার মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান পিয়াসা। মামলাটি জামিনযোগ্য হওয়ায় তাকে জামিন দেন আদালত।

মামলায় দিলদার আহমেদ সেলিম অভিযোগ করেছেন, পিয়াসা দিলদারপুত্র সাফাতকে ফাঁদে ফেলে ২০১৫ সালের ১ জানুয়ারি বিয়ে করেন। পরে তারা জানতে পারেন যে পিয়াসা মাদকাসক্ত এবং উচ্ছৃঙ্খল জীবন-যাপনে অভ্যস্ত। তাই ২০১৭ সালের ৮ মার্চ পিয়াসাকে তালাক দেন সাফাত। এরপর রাজধানীর রেইনট্রি হোটেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় পিয়াসার স্বামী সাফাত জড়িত ছিলেন। তখন আবার ঘুরে ফিরে পিয়াসার নামটি আলোচিত হয় সামাজিক মহলে।

এদিকে ২০১৯ সালের ১১ মার্চ দিলদারের বিরুদ্ধেও একটি মামলা করেন পিয়াসা। মামলায় অভিযোগ আনা হয়, দিলদার আহমেদ পিয়াসাকে গর্ভপাতের চেষ্টা, নির্যাতন, হত্যার হুমকি দিয়েছেন। তবে সে বছরের ১৭ জুলাই পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক মো. মজিবুর রহমান আদালতে দেয়া প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, পিয়াসার অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি।

কয়েক মাস আগে রাজধানীর গুলশানের একটি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে মোসারাত জাহান (মুনিয়া) নামে এক তরুণীর মরদেহ। ঘুরে ফিরে এখানেও আলোচনায় পিয়াসার নাম। এবার ওই তরুণীর বোন নুসরাত জাহান বাদী হয়ে মামলা করেছেন। মামলার এজাহারে উঠে এসেছে পিয়াসার নাম। এর রেশ কাটতে না কাটতেই আবার আলোচনায় সেই পিয়াসা।

ঢাকাটাইমস/০২আগস্ট/কারই/ইএস

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
প্রতিদিন হাঁটলে সুগার-কোলেস্টেরল মুঠোয় থাকবে, বাড়বে না ওজন
ডায়াবেটিস নিরাময় করে ভেষজ মহৌষধি আমলকি
প্রথম প্রেমের স্পর্শ: পর্ব ১৪- ভালোবাসা যেখানে থেমে থাকে না
"হাতে হারিকেন ধরিয়ে জাহান্নামে পাঠানো হবে!" — চাঁদাবাজি নিয়ে পুলিশ কর্মকর্তার হুঁশিয়ারি
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা