কুষ্টিয়ায় ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২০ আগস্ট ২০২১, ১৭:৫৩

কুষ্টিয়ায় সরকারি অর্থ ব্যয়ে রাস্তাঘাটসহ নানা অবকাঠামো নির্মাণে অনিয়ম-দুর্নীতিসহ পরিষদের সদস্যদের মতামতকে তুচ্ছ ও উপেক্ষা করে সকল কার্যক্রমে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগে মিরপুর উপজেলার আমলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম মালিথার বিরুদ্ধে ইউপি সদস্যরা লিখিত অনাস্থার অভিযোগসহ সমাধানের দাবি করেছেন।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, উভয় পক্ষকে ডেকে আলাপ-আলোচনা সাপেক্ষে একটা সমাধান বের করা যায় কিনা দেখা যাক।

অন্যদিকে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন অভিযোগ রাজনৈতিক প্রতিহিংসাবশত করা হয়েছে।

শুক্রবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেন মিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লিংকন বিশ্বাস।

ইউপি সদস্যদের দেওয়া অনাস্থাপত্র সূত্রে জানা যায়, আমলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম মালিথা ইউপি সদস্যদের ভাতা প্রদান করেননি। কাবিটার ২০১৯-২০ অর্থবছরে আমলা সাগরখালি আশ্রয়ন প্রকল্পের রাস্তা মেরামত ও কালভার্টের কাজ নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে করা হয়েছে এবং সরকারি অর্থ আত্মস্যাৎ করেছে। বিধবা, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী ভাতার ক্ষেত্রে তিনি ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে অবৈধভাবে টাকা নিয়েছেন। ভুয়া বিল-ভাউচার দেখিয়ে সরকারি বরাদ্দের টাকা উত্তোলনসহ বিভিন্ন অভিযোগ করেন ইউপি সদস্যরা।

অনাস্থাপত্রে, আমলা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও ২নং ওয়ার্ডের সদস্য সিদ্দিক আলী, ১নং সদস্য হাসমত আলী, ৫নং সদস্য আব্দুল হান্নান, ৬নং সদস্য রমজান আলী, ৮নং সদস্য আমান উল্লাহ আমান, ৯নং সদস্য রাকাত আলী, সংরক্ষিত ১, ২, ৩ নং সংরক্ষিত সদস্য রানি খাতুন, ৪, ৫, ৬ নং সংরক্ষিত সদস্য রানি খাতুন স্বাক্ষর করেন ।

অভিযুক্ত আমলা ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আমার চেয়ারম্যান পদের মেয়াদ শেষ হয়েছে আরও অনেক আগেই। এর আগে বিগত পাঁচ বছর কাটলো এতোদিন আমার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ কেউ কখনও করেনি। আজকে হঠাৎ করে আমি দোষী হয়ে গেলাম কিভাবে তা আপনারা নিজেরাও বুঝতে পারছেন। হঠাৎ করে এমন মিথ্যা-বানোয়াট, ভিত্তিহীন অভিযোগ রাজনৈতিক প্রতিহিংসাবশত আমাকে হেয় করার জন্য করা হয়েছে।

মিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিংকন বিশ্বাস জানান, গত বুধবার ১৬ আগস্ট বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তুলে আমলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম মালিথার বিরুদ্ধে একটি অনাস্থাপত্র দিয়েছেন ওই ইউনিয়ন পরিষদের আটজন সদস্য। বিষয়টি তদন্ত সাপক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

(ঢাকাটাইমস/২০আগস্ট/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :