হত্যা মামলা: এক বছর পর জীবিত উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২১ আগস্ট ২০২১, ১৯:৪৮

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ এলাকায় অপহরণের পর হত্যা একটি মামলা তদন্ত করতে গিয়ে এক বছর পর মামলার ভুক্তভোগীকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার পুলিশ ব্যুরো ইনভেটিগেশ (পিবিআই)। ওই করা ওই ভুক্তভোগীর নাম মো. ওয়াসিম জাহান তৌহিদ। শনিবার বিকালে পিবিআইয়ের সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মো. মানজুমুল হুদা নাহিদের ছোট ভাই মো. ওয়াসিম জাহান তৌহিদের সাথে জান্নাতি বেগমের নামে এক নারী ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে নাহিদের পরিবারকে বিয়ের চাপ দিতে থাকে। ওই মামলার আসামিদের অভিযোগ ছিল যে, নাহিদকে আসামিরা বলেছিলেন, যে আপনার ছোট ভাই তৌহিদ জান্নাতিকে বিয়ে না করলে তাকে অপহরণ ও হত্যা করে গুম করে ফেলা হবে।

পিবিআই জানায়, নাহিদ পরবর্তীতে জানতে পারে যে আসামিরা ২০১৮ সালের ৫ মে চার লাখ টাকা দেন মোহরে নাহিদের ছোট ভাই তৌহিদের সাথে জান্নাতির বিয়ে দেয়।

পিবিআই জানায়, গত ২০১৯ সালের ৮ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ছয়টার দিকে ওয়াসিম জাহান তৌহিদ বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। এরপর থেকে তৌহিদ বাড়িতে ফিরে আসেনি। এতে নাহিদের সন্দেহ হয় যে, জান্নাতির পরিবারের সদস্যরা তৌহিদকে অপহরণ করে হত্যার পর তার লাশ গুম করে ফেলেছে।

এ ঘটনায় তৌহিদের বড় ভাই মানজুমুল হুদা নাহিদ বাড়ি হয়ে তৌহিদের স্ত্রী, শ্বশুর, শাশুড়িসহ সাতজনের নামে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ থানা জেষ্ঠ্য জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, আমলি আদালতে একটি মামলা করেন। ২০২০ সালের ৩০ জানুয়ারি গাইবান্ধার পিবিআই ওই মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব নেয়। পুলিশ পরিদর্শক (নি:) মো. আবদুর রাজ্জাককে তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ করে।

পিবিআই জানায়, পিবিআইয়ের সদর দপ্তরের ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদারের সঠিক তত্ত্বাবধান ও দিক নির্দেশনায় পিবিআইর গাইবান্ধা জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) এ আর এম আলিফের তদন্ত তদারকিতে পিবিআই মামলা নেওয়ার দীর্ঘ এক বছর আট মাস পর পিবিআই জানতে পারে অপরহণের হত্যা করার মৃত ব্যক্তিকে জীবিত। তখন গাইবান্ধা জেলার পিবিআইয়ের সদস্যরা গাজীপুর পুলিশের সহায়তায় গত বৃহস্পতিবার গাজীপুর মোগরখাল এলাকার টিএনজেড নামের একটি ফ্যাক্টরির সামনে থেকে তৌহিদকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করে।

জীবিত উদ্ধার হওয়া ভুক্তভোগী মো. ওয়াসিম জাহান তৌহিদের বরাত দিয়ে পিবিআই জানায়, তৌহিদের সাথে পাশের গ্রামের মো. জাহিদুল ইসলামের মেয়ে জান্নাতি বেগমের প্রেমের সম্পর্কে সুযোগ শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। এতে জান্নাতি গর্ভবতী হওয়ার বিষয়টি জানাজানি হয়। একপর্যায়ে স্থানীয় এলাকার গন্যমান্য লোকজন মিলে ২০১৮ সালের ২৭ মে শালিসি বৈঠকের মাধ্যমে চার লাখ টাকা দেন মহরে বিয়ে দেয়। বিয়ের পর তাদের সংসার জীবনে একটি মেয়ে সন্তান জন্ম নেয়। এরপর তৌহিদ তার জান্নাতির কাছে দুই লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। জান্নাতি বেগম ওই যৌতুকের টাকা দিতে অস্বীকার করলে তৌহিদ তখন জান্নাতিকে তার বাবার বাড়ি পাঠিয়ে দেয় এবং স্ত্রী-সন্তানের ভরণ-পোষণ বন্ধ করে দেন।

তৌহিদের বরাত দিয়ে পিবিআই জানায়, তখন জান্নাতি বেগম বাদী হয়ে ওয়াসিম জাহান তৌহিদকে আসামি করে সুন্দরগঞ্জ পারিবারিক জজ আদালতের একটি মামলা করে। ভুক্তভোগীর তৌহিদ ওই মামলার দায় থেকে বাঁচার জন্য তার বড় ভাই এই মামলার বাদী নাহিদ রাজশাহী কোর্টের আইনজীবী সহকারী (মুহুরী) ও তার পরিবারের সদস্যদের পরামর্শে তৌহিদকে নিজেই গাজীপুর শহরে আত্মগোপণ করে থাকে।

(ঢাকাটাইমস/২১ আগস্ট/এএ/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :