‌'সাবধানে মা, দোয়া পড়তে পড়তে যাও'

বোরহান উদ্দিন , ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১২ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১০:৩৯ | প্রকাশিত : ১২ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১০:১৫

'সাবধানে মা! দোয়া পড়তে পড়তে যাও, আমি বাইরে আছি'- দেড় বছরেরও বেশি সময় পর সন্তানকে স্কুলের মূল ফটকে পৌঁছে দিয়ে এভাবেই অভয় দিচ্ছিলেন শফিক আহমেদ।

পুরান ঢাকার লক্ষ্মীবাজারের সেন্ট ফ্রান্সিস জেভিয়ার্স স্কুলে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে শফিক আহমেদের মেয়ে সুবর্ণা।

দীর্ঘদিন পর স্কুলে আসার সুযোগ পেয়ে অন্যদের মতো সুবর্ণাও বেশ উৎফুল্ল। কারণ করোনার কারণে ১৭মাস ধরে অনেকটা ঘরবন্দি থাকতে হয়েছে সুবর্ণাদের। স্কুলে পাঠদান বন্ধ থাকলেও অনলাইনে চলেছে শিক্ষা কার্যক্রম।

শফিক আহমেদ ঢাকাটাইমসকে বলেন, দীর্ঘ অপেক্ষার পর স্কুল খুললেও আতঙ্ক আছে। কারণ করোনা বলে-কয়ে আসবে না। সন্তানরা নিরাপদে থাকলে আমরাও টেনশনমুক্ত থাকতে পারবো। আমাদের তো সবকিছু ওদের নিয়েই।

মিশনারি এই স্কুলটিতে ঘুরে দেখা গেছে, শুরুতে প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা স্কুলে প্রবেশের সুযোগ পেয়েছে। তাদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেয় কর্তৃপক্ষ। এতে ক্ষুদে শিক্ষার্থীরাও বেশ আনন্দিত।

পরে অন্যান্য ক্লাসের শিক্ষার্থীরা স্কুলে প্রবেশ করে। স্কুলের মূল ফটকে একাধিক স্টাফ কেউ হ্যান্ডসেনিটাইজার, কেউ তাপমাত্রা মাপার যন্ত্র নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। সেনিটাইজার এবং তাপমাত্রা না মেপে কাউকে স্কুলে ঢুকতে দেয়া হয়নি।

গতবছর মার্চে দেশে করোনার সংক্রমণ শুরুর পর থেকে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়। বারবার উদ্যোগ নিলেও করোনার সংক্রমণ না কমায় খোলা যায়নি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে থাকার দাবি করে সরকার রবিবার থেকে সশরীরে পাঠদান শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে এজন্য দেয়া হয়েছে ১৯ শর্ত।

স্কুল গেটের বাইরে কথা হয় পুস্পিতা হালদারের সঙ্গে। তার মেয়ে রূপা প্রথম শ্রেণিতে পড়ে। ঢাকাটাইমসকে তিনি বলেন, আজকের দিনটি অনেক আনন্দের। ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। কিন্তু এই খুশি ধরে রাখতে চাইলে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। সব থেকে বেশি জরুরি হলো স্বাস্থ্যবিধি মানা। কিন্তু স্কুল ছুটির পর সেটি তেমন একটা দেখা যায়নি।

(ঢাকাটাইমস/১২সেপ্টেম্বর/বিইউ/কেআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :