চান্দিনায় বন্ধ হয়ে গেল ২৬ কিন্ডার গার্টেন

আবদুল্লাহ আল মারুফ, কুমিল্লা
| আপডেট : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৪:৫২ | প্রকাশিত : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৪:১৭

আর্থিক অনটনসহ নানা সঙ্কটের কারণে বন্ধ হয়ে গেছে কুমিল্লা জেলার চান্দিনা উপজেলার ২৬টি কিন্ডার গার্টেন। এছাড়া যেসব প্রতিষ্ঠান টিকে আছে, তাদেরও কাটছে চরম দৈন্য-দশায়। দেড় বছর বন্ধ থাকার পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললেও নতুন চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে টিকে যাওয়া কিন্ডার গার্টেনগুলোকে।

বন্ধ হওয়া বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিদ্যালয় ও মাদ্রসায় ভর্তি হয়েছে। আবার অনেকেই ঝরে পড়েছে। কেউ কেউ জড়িয়ে পড়েছে নানা কাজে। এই মুহূর্তে তাদের বিদ্যালয়গামী করাই মুশকিল। সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌর এলাকা ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

এদিকে অর্থনৈতিক সঙ্কট কাটাতে উপজেলার ১২৪ টি কিন্ডার গার্টেনের কমপক্ষে ১০০ জন শিক্ষক পেশা পরিবর্তন করেছেন। দীর্ঘ করোনাকালে প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় বেতন-ভাতা কিছুই পাননি শিক্ষকরা। ফলে পরিবারের ভরণ-পোষণ যোগাতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়েছে তাদের। বাধ্য হয়ে ক্ষুদ্র ব্যবসা, ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে কর্মচারী হিসেবে চাকরি করতে হয়েছে অনেক শিক্ষককেই। সরকারি প্রণোদনা বা আর্থিক সহায়তা পাননি এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীরা।

চান্দিনা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুল্লাহ্ আল-মামুন জানান, ১৩টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত এ উপজেলায় করোনাকালে বন্ধের আগ পর্যন্ত ২০২০ সালের শুরুতে ১২৪টি কিন্ডারগার্টেন ছিল। এর মধ্যে ২৬টি কিন্ডারগার্টেন বন্ধ হয়ে গেছে।

চান্দিনা বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঐক্য পরিষদের সভাপতি জেলা শ্রেষ্ঠ শিক্ষানুরাগী মনির খন্দকার জানান, পৌর এলাকার মোকামবাড়ী সংলগ্ন আল ফালাহ আইডিয়াল কিন্ডার গার্টেন অ্যান্ড হাইস্কুল, বাড়েরা বর্ণমালা শিশু শিক্ষা কিন্ডার গার্টেন স্কুল, মহিচাইল শিশু একাডেমি, আলিকামোড়ার মাতৃছায়া কিন্ডার গার্টেন, বরকরইয়ের রুপসী বাংলা কিন্ডার গার্টেন, পরচঙ্গা আইডিয়াল একাডেমিসহ ২৬টি কিন্ডারগার্টেন বন্ধ হয়ে গেছে। শিক্ষকরা দেড় বছরে সরকারি কোন প্রণোদনা বা আর্থিক সহায়তা পাননি।

বাড়েরা বর্ণমালা শিশু শিক্ষা কিন্ডার গার্টেনের শিক্ষক দ্বীপক চন্দ্র দে জানান, করোনার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় আর্থিক সংকট দেখা দেয়। ১০ জন শিক্ষকের বেতন ও স্কুলের ভাড়া বহন করা সম্ভব হচ্ছিল না। তাই উপায় না পেয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয় আমাদের কিন্ডার গার্টেনটি।

চান্দিনা বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঐক্য পরিষদ সাধারণ সম্পাদক আশিকুল ইসলাম জানান, করোনা শুরুর পর থেকে স্কুল বন্ধ। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকাবস্থায় সরকারিভাবে কোন ধরনের সহযোগিতা না করায় অর্থিক সংকটে প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ হয়েছে। ফলে দীর্ঘদিন বেকার থাকায় কিন্ডার গার্টেন শিক্ষকরা অনেকেই পেশা পরিবর্তন করে অন্য পেশায় যুক্ত হয়েছেন।

(ঢাকাটাইমস/২৩সেপ্টেম্বর/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :