দাগনভূঞায় ঠান্ডাজনিত শিশু রোগী বাড়ছে

মোকাররম হোসেন, দাগনভূঞা (ফেনী)
 | প্রকাশিত : ১০ অক্টোবর ২০২১, ১৭:৩৩

ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলায় আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে জ্বর, ডায়রিয়া, কাশি, শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়াসহ ঠান্ডাজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা। দাগনভূঞা উপজেলার বিভিন্ন হাসপাতালে প্রতিদিন প্রায় শতাধিক শিশু চিকিৎসা নিচ্ছে।

রবিবার ৫০ শয্যা বিশিষ্ট দাগনভূঞা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, ৬০ জন রোগী ভর্তি রয়েছে। এর মধ্যে ১৭ জনই শিশু। গত এক মাসে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে হাজারের বেশি শিশু রোগী ঠান্ডাজনিত সমস্যা নিয়ে ভর্তি হয়েছে এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি যাচ্ছে।

হাসপাতালে কর্মরত একাধিক নার্স জানান, ইদানীং শিশুরোগী বেশি আসছে। তাদের সবারই ঠান্ডাজনিত সমস্যা। আমরা সাধ্যমতো সেবা দিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু আমাদের অনেক নার্স বদলি হয়ে যাওয়া এবং নতুন নার্স এখনও না আসায় আমাদের বেশি ডিউটি করা লাগছে।

এক শিশু রোগীর মা বিউটি আক্তার জানান, তিনি তার ১১ মাস বয়সী ছেলে জিহাদকে নিয়ে তিন দিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। বাড়িতে হঠাৎ জ্বর, কাশি আর ডায়রিয়া শুরু হয়। দোকান থেকে ওষুধ এনে দুদিন খাওয়ানোর পরও অবস্থা ভালো না হওয়ায় দাগনভূঞা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। এখন তার ছেলের অবস্থা একটু উন্নতি হয়েছে। তবে জ্বর কমে আবার বাড়ে। চিকিৎসক এবং নার্সদের সেবায় তারা সন্তুষ্ট।

শাহেদা আক্তার নামে আরেকজন ১৩ মাস বয়সী শিশু রোগীর মা জানান, গত পাঁচ দিন আগে তার মেয়ে রেশমির হঠাৎ জ্বর আসে এবং হালকা কাশি শুরু হয়। ওষুধ খাওয়ানোর পরও অবস্থা ভালো না হওয়ায় দুদিন আগে তারা দাগনভূঞা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এসে ভর্তি করেন।

দাগনভূঞা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. নুরুল আফসার বলেন, ‘আবহাওয়া পরিবর্তনের এই সময়ে প্রতিবছরই ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা বেড়ে যায়। এ ধরনের রোগগুলো সাধারণত শিশুদের আক্রমণ করে। আমাদের ভাষায় আমরা এটাকে ব্রঙ্কিউলাইটিস বলি। শিশুদের এসময় ভাইরাসজনিত জ্বর, সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন ঠান্ডাজনিত রোগ আক্রান্ত করে।’

ডা. নুরুল আফসার বলেন, ‘৯৯.৯৯% রোগীই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছে। ঋতু পরিবর্তনের এই সময়টাতে বাবা-মায়ের উচিৎ ছোট শিশুদের প্রতি আরও বেশি যত্নবান হওয়া। তাহলে এ ধরনের ঠান্ডাজনিত রোগ আক্রান্ত হওয়া থেকে রক্ষা পেতে পারে।’

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচএফপিও) ডা. রুবায়েত বিন করীম জানান, ‘আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে সাধারণত জ্বর, কাশি, ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া- এ ধরনের রোগগুলো হয়। কম বয়সী ও শিশুরা এসব রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। অসুস্থতার মাত্রা বেশি হলে আমরা ওয়ার্ডে ভর্তি নিচ্ছি।’

(ঢাকাটাইমস/১০অক্টোবর/কেএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :