সুনির্দিষ্ট অভিযোগেই দুদকে ডাকা হয়েছে শিল্পকলার ডিজিকে
দুর্নীতি ও অনিয়মের সুনির্দিষ্ট অভিযোগেই শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীকে দুদকে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির সচিব মো. মাহবুব হোসেন। তিনি বলেছেন, ঢালাও অভিযোগ পেয়ে দুদক কাউকে তলব করে না।
রবিবার দুর্নীতি দমন কমিশন প্রধান কার্যালয়ের সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
দুদক সচিব বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশনে অনেক নিউজ আসতে পারে বিভিন্ন সোর্স থেকে। প্রাথমিক পর্যায়ে একটি যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে, তারা প্রাথমিক পর্যায়ে যাচাই বাছাই করে থাকে। দুদকের কাছে যখন সত্যতা প্রতীয়মান হয়, তখনই পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালকের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছিলো, দুর্নীতি দমন কমিশেনের বিধান মোতাবেক তার কাছে তথ্য উপাত্ত চাওয়া হয়েছিলো, তিনি ১১ তারিখে সংশ্লিষ্ট তথ্য উপাত্ত আমাদের কাছে জমা দিয়েছেন।
শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালককে দুদকের জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়ে দুদক সচিব বলেন, অনুসন্ধোনের কোনো এক পর্যায়ে দুদকের মনে হয়েছে তার বক্তব্য শ্রবণ করা প্রয়োজন, সেই লক্ষে কমিশনের পত্র মোতোবেক উনি আজকে এসেছিলেন, বিধি মোতবেক তার বক্তব্য রেকর্ড করা হয়েছে।
দুদকে দেওয়া শিল্পকলার ডিজিরি বক্তব্যের বিষয়ে মাহবুব হোসেন বলেন, তার বক্তব্য কী ছিলো সেটা আমি বলতে পারবো না। কারণ আমি সেখানে ছিলাম না। সেখানে ছিলো তদন্ত কর্মকর্তাদের একটি টিম। তারা বক্তব্যটা নিয়েছেন। তারা বিধি মোতাবেক তথ্য বিশ্লেষণ করে পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করবেন।
কোন অভিযোগ আমলে নিয়ে লিয়াকত আলীকে ডাকা হয়েছে- এমন প্রশ্নে দুদক সচিব বলেন, কোন অভিযোগ আমলে নিয়ে তাকে এখানে ডাকা হয়েছে সেই বিষয়টি এখানে প্রকাশ্যে বলার মতো না।
অভিযুক্ত লিয়াকত আলী লাকী তার অর্থিক অনিয়মকে অপপ্রচার বলছেন, তিনি বলছেন তিনি নির্দোষ, এটা তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার। এই প্রসঙ্গে দুদক সচিব বলেন, আমাদের অবস্থান কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে নয়, কারো বিরুদ্ধেই নয়। আমাদের কাছে যে অভিযোগগুলো আসে সেগুলো যাচাই বাছাই করে বিশেষভাবে অনুসন্ধান করি।
কমিটির কাছে যখন অভিযোগের সত্যতা প্রতীয়মান হয়, অনুসন্ধান ও তদন্ত করা প্রয়োজন মনে করলে তখনই অনুসন্ধান কার্যক্রম হয়ে থাকে।
ঢাকাটাইমস/১৬ জানুয়ারি/এসআর/ইএস