স্থানীয়রাই ভাঙলেন জলাধারের স্থাপনা, ভরাটে নিষেধাজ্ঞা মেয়র আতিকের
রাজধানীর কুড়িল ফ্লাইওভার সংলগ্ন জলাধারের জায়গা বরাদ্দ নিয়ে পাঁচ তারকা হোটেল এবং শপিং কমপ্লেক্স নির্মাণের জন্য বিলবোর্ড টানিয়ে গড়ে ওঠা স্থাপনা মেয়রের উপস্থিতিতে গুড়িয়ে দিয়েছেন স্থানীয়রা। এসময় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, 'প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ রয়েছে নগরীর কোনো জলাধার ভরাট করে স্থাপনা নির্মাণ করা যাবে না বলে জানান তিনি।'
বৃহস্পতিবার রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোড এর পাশের জলাধার উদ্ধার অভিযানে গিয়ে ডিএনসিসি মেয়র এ সব কথা বলেন।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, 'কুড়িল বিশ্বরোডের পাশের এই জলধার যুগ যুগ ধরে নিকুঞ্জের মানুষকে জলাবদ্ধতা থেকে রক্ষা করে আসছে, এটি ভরাট করা হলে নিকুঞ্জসহ এয়ারপোর্ট রোডে বর্ষার পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা নষ্ট হয়ে যাবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ রয়েছে নগরীর কোনো জলাধার ভরাট করে স্থাপনা নির্মাণ করা যাবে না।'
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, 'জলাধারের জায়গা সরেজমিন পরিদর্শন না করেই বাংলাদেশ রেলওয়ে বরাদ্দ দিয়েছে, ১.৮৪ একরের এই জলাধার রক্ষায় প্রয়োজনে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এসময় রাস্তার পাশে অনুমতি ছাড়া নির্মিত মিলিনিয়াম হোল্ডিং লিমিটেডের একটি বিশাল সাইনবোর্ড ভেঙে উচ্ছেদ করা হয়। এছাড়াও তিনি সৃষ্ট সমস্যার সম্ভব্য প্রতিকার নিয়ে রেলওয়ে মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুমনের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলেন।
এদিকে (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম তার ভেরিফাইড ফেইসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে লিখেছেন, জনৈক সম্মানিত নাগরিক ফেইসবুক গ্রুপে উদ্বেগ জানিয়েছেন কুড়িল ফ্লাইওভার ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মাঝখানে বাণিজ্যিক ভবন নির্মিত হতে যাচ্ছে। বিষয়টি ডিএনসিসি কর্তৃপক্ষের নজরে আসে এবং উচ্ছেদকল্পে সঙ্গে সঙ্গে অভিযান চালানো হয়েছে। ঐ স্থানে পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থা, জলাধার, পার্ক এবং পাবলিক স্পেইস নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে ডিএনসিসি।
উচ্ছেদ অভিযানে অন্যান্যের মধ্যে ডিএনসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হক, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহ. আমিরুল ইসলামসজ স্থানীয় কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।
(ঢাকাটাইমস/২৭জানুয়ারি/কেআর/ইএস)