জন্মদিনে জানুন আলিয়া ভাট সম্পর্কে জানা-অজানা

বলিউডের এই সময়ের অন্যতম প্রতিভাবান অভিনেত্রী আলিয়া ভাট। যিনি এরই মধ্যে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে দুটি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার লাভ করেছেন। ২০১৭ সালে জায়গা করে নেন ফোর্বস ইন্ডিয়ার সেলিব্রিটি ১০০ তালিকায় এবং একই বছর ফোর্বস এশিয়ার থার্টি আন্ডার থার্টি তালিকায়ও অন্তর্ভুক্ত হন। এত কম বয়সে এমন সাফল্য আর কোনো বলিউড নায়িকার নেই।
সেই আলিয়া ভাটের আজ জন্মদিন। ১৯৯৩ সালের ১৫ মার্চ ভারতের মুম্বাইয়ে জন্ম হয়েছিল ‘স্টুডেন্ট অব দ্য ইয়ার’ ছবির এই নায়িকার। সেই হিসেবে আজ আলিয়ার বয়স ২৯ পূর্ণ হলো। তার বাবা বলিউডের বিখ্যাত প্রযোজক-পরিচালক মহেশ ভাট এবং মা অভিনেত্রী সোনি রাজদান।
জনপ্রিয় এই নায়িকার ব্যক্তিগত জীবন, তার প্রেম, বাবা-মা এবং ক্যারিয়ারের নানা দিক সম্পর্কে প্রায় সবই জানা তার অনুরাগদের। কিন্তু এমন কিছু জিনিস আছে যা হয়তো কারও জানা নাও থাকতে পারে। চলুন তবে জেনে আসি আলিয়া এবং তার পরিবারের সে সব অজানা কথা।
আলিয়ার বাবা-মা দুজনই হিন্দুধর্মালম্বী ছিলেন। তবে তাদের বিয়ের সময় দুজনই ইসলাম ধর্মে দীক্ষা নেন। বাবা-মা অনুসারে আলিয়া ভাট এবং তার আপন বড় বোন শাহীন ভাট নাস্তিক হিসাবে বেড়ে উঠেন। মায়ের দিক থেকে আলিয়া কাশ্মীরী-জার্মান এবং বাবার দিক থেকে গুজরাটি বংশদ্ভূত।
আলিয়ার একটি হাস্যকর ডাকনাম আছে, তা হলো আলু। ভারতীয় পরিচালক নানাভাই ভাট আলিয়ার দাদা। তার বড় বোন শাহীন ভাট একজন লেখক। অভিনেত্রী ও নির্মাতা পূজা ভাট তার সৎবোন এবং সৎভাই অভিনেতা রাহুল ভাট। ‘সিরিয়াল কিসার’ খ্যাত অভিনেতা ইমরান হাশমী ও পরিচালক মোহিত সুরি আলিয়ার চাচাতো ভাই।
আলিয়া ভাট ২০১১ সালে মুম্বাইয়ের জামাবাই নার্সি বিদ্যালয় (আইবিডিপি) থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন। জন্মসূত্রে তিনি ব্রিটিশ নাগরিক।
এবার জেনে আসি আলিয়ার ক্যারিয়ার সম্পর্কে
১৯৯৯ সালে মাত্র ৬ বছর বয়সে তনুজা চন্দ্র পরিচালিত ‘সংঘর্ষ’ ছবিতে শিশুশিল্পীর ভূমিকায় অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্রে আত্মপ্রকাশ ঘটে আলিয়া ভাটের। পরবর্তীতে ২০১২ সালে প্রাপ্তবয়স্ক অভিনেত্রী হিসাবে সিদ্ধার্থ মালহোত্রা ও বরুণ ধাওয়ানের বিপরীতে করণ জোহর পরিচালিত প্রণয়ধর্মী হাস্যরসাত্ত্বক ‘স্টুডেন্ট অব দ্য ইয়ার’ ছবিতে প্রথম অভিনয় করেন।
২০১২ সালে ‘স্টুডেন্ট অব দ্য ইয়ার’ বক্স অফিসে সাফল্য অর্জন করে। জোহরের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ধর্ম প্রোডাকশন থেকে নির্মিত বেশ কয়েকটি ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা পেয়েছেন। যার মধ্যে ‘টু স্টেট্স’ (২০১৪), ‘হাম্পটি শর্মা কি দুলহনিয়া’ (২০১৪), ‘ডিয়ার জিন্দেগি’ (২০১৬) এবং ‘বদ্রীনাথ কি দুলহনিয়া’ (২০১৭) অন্তর্ভুক্ত।
২০১৪ সালে ইমতিয়াজ আলী পরিচালিত ‘হাইওয়ে’ পথচলচ্চিত্রে স্টকহোম সিনড্রোমে আক্রান্ত কিশোরীর চরিত্রে আলিয়ার অভিনয় বেশ প্রশংসা পায়। চলচ্চিত্রটির জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে ফিল্মফেয়ার সমালোচক পুরস্কার জেতেন। একই অনুষ্ঠানে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর জন্যও মনোনয়ন পান। ২০১৬ সালে ‘উড়তা পাঞ্জাব’ অপরাধ নাট্য চলচ্চিত্রে দারিদ্র্যপীড়িত অভিবাসী চরিত্রে এবং ২০১৮ সালে ‘রাজি’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য আলিয়া শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার লাভ করেন।
পরবর্তীকালে তিনি হিন্দি চলচ্চিত্রের সর্বাধিক উপার্জনকারী নারী-নের্তীত্বাধীন চলচ্চিত্রগুলোতে কাজ করেন। ২০১৯ সালে তার সর্বাধিক উপার্জনকারী সঙ্গীতধর্মী নাট্য চলচ্চিত্র ‘গালি বয়’ মুক্তি পায়। চলচ্চিত্রটি ৯২তম একাডেমি পুরস্কারে (অস্কার) সেরা বিদেশি ভাষার চলচ্চিত্র বিভাগে ভারত থেকে নির্বাচিত হয়েছিল।
চলচ্চিত্রে অভিনয়ের পাশাপাশি আলিয়া তার পোশাক এবং হ্যান্ডব্যাগগুলোর নিজস্ব ধারার বিবর্তন ঘটিয়েছেন এবং বাস্তুতান্ত্রিক উদ্যোগের অংশ হিসাবে কোএক্সজিস্ট নামক একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনি তার অভিনীত ছয়টি চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠশিল্পী হিসাবে কাজ করেছেন। এছাড়া তিনি নিয়মিত মঞ্চে একক ও যৌথ পরিবেশনায় অংশ নেন।
ঢাকাটাইমস/১৫ মার্চ/এএইচ

মন্তব্য করুন