প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় শিক্ষকদের আন্দোলনের ৯ দিনেও আশ্বাস মেলেনি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ২৮ মার্চ ২০২২, ১৯:৩২
অ- অ+

এমপিওভুক্তি করাসহ বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলনের নয় দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও সরকারের পক্ষ থেকে কোনো আশ্বাস পাননি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় শিক্ষকরা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন তারা।

গত ২০ মার্চ রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করে ‘বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি’।

সোমবার জাদুঘরের সামনে যখারীতি চলমান ছিল আন্দোলন কর্মসূচি। টানা নয় দিন রাজপথে থাকার ফলে অনেকেই হয়ে পড়েছেন অসুস্থ। রয়েছে খাবারদাবারসহ অন্যান্য সমস্যা। তবুও আন্দোলনকারীরা তাদের দাবির পক্ষে অটল।

কর্মসূচির আহ্বায়ক আরিফুর রহমান অপু বলেন, অনাহারে থেকেও আমরা আন্দোলনের মাঠে অবস্থান করছি। সরকারের উচিৎ আমাদের প্রতি সুদৃষ্টি দেওয়া।

মন্ত্রণালয় কোনো সাড়া দিয়েছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে আরিফুর রহমান অপু বলেন, এখন পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে সন্তোষজনক কোনো সাড়া আসেনি। জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের যুগ্মসচিব প্রভাস চন্দ্র রায় বলেছেন, আন্দোলন প্রত্যাহার করে নিতে। কিন্ত দাবির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়ব না। আমরা শান্তিপূর্ণ উপায়েই এই কর্মসূচি চালিয়ে যেতে চাই।

এমপিওভুক্তসহ বিভিন্ন দাবিতে শাহবাগে আন্দোলন কর্মসূচি শুরু করে বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। তাদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- ১. প্রতিবন্ধিতা সম্পর্কিত সমন্বিত বিশেষ শিক্ষা নীতিমালা অনুযায়ী বিদ্যালয়গুলোর একসঙ্গে স্বীকৃতি ও এমপিও দেওয়া, ২. বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিয়োগের তারিখ থেকে ভাতা দেওয়া, ৩. সব বিদ্যালয়ের বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ছাত্র/ছাত্রীদের শতভাগ উপবৃত্তি দেওয়া, ৪. সব বিদ্যালয়ে প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের শিক্ষা কারিকুলাম অনুযায়ী বিনামূল্যে পাঠ্য বই বিতরণ নিশ্চিত করা, ৫. বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন্ ছাত্র/ছাত্রী উপযোগী স্বাস্থ্য সম্মত খাবার পরিবেশন করা, ৬. সব বিদ্যালয়ে চাহিদা অনুযায়ী শিক্ষা উপকরণ শতভাগ নিশ্চিত করা। ৭. প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়গুলো নিয়মিত মনিটরিং নিশ্চিত করা, ৮. শিক্ষক–কর্মচারীদের মানোন্নয়নমূলক ট্রেনিংসহ সব সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা, ৯. শতভাগ বিদ্যালয় আধুনিক মান সম্পন্ন প্রতিবন্ধীবান্ধব ভবন নির্মাণ নিশ্চিত করা, ১০. প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়গুলোতে আধুনিক থেরাপি সরঞ্জাম সরবরাহসহ থেরাপি সেন্টার চালু করা এবং ১১. শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন শেষে যোগ্যতা অনুযায়ী কর্মসংস্থানসহ আত্মনির্ভরশীল জীবনযাপনের নিশ্চয়তা দেওয়া।

(ঢাকাটাইমস/২৮মার্চ/ওএফ/কেএম)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
কলকাতায় হোটেলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, ১৪ জনের মরদেহ উদ্ধার
তিন সাংবাদিকের চাকরিচ্যুতিতে সরকারের সংশ্লিষ্টতা? যা বললেন উপদেষ্টা ফারুকী
ভেষজ ঔষধি ঢেঁড়স ডায়াবেটিস ও ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়
গরমে স্বাস্থ্য রক্ষায় কোন পাত্রে কতটুকু পানি পান করা নিরাপদ
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা