চুলকে প্রতিবাদের ভাষা বানিয়েছেন আফ্রিকার এক তরুণী

সামাজিক অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে চুলকে হাতিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছেন আফ্রিকার দেশ আইভরি কোস্টের পঁচিশ বছরের তরুণী লেটিটিয়া কাই।
ওই তরুণী পুলিশি অত্যাচার থেকে লিঙ্গ ও বর্ণ বৈষম্য, নানা ধরনের অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছেন।
লেটিটিয়া কাই পেশায় একজন নকশাশিল্পী। তিনি নিজের চুল ব্যবহার করেই হরেক রকমের ভাস্কর্য ফুটিয়ে তোলেন। এই ভাস্কর্য শুধুমাত্র সৌন্দর্যের প্রতীকই নয়, রাজনৈতিক ভাষ্যও বটে। ২০১৬ থেকে নিজের চুল নিয়েই ভাস্কর্য তৈরি করা শুরু করেন।
মূলত বিশেষ ধরনের আঠা ও তার ব্যবহার করে চুলের বেণী নানা ভাবে সাজিয়ে তোলেন। নাইজিরিয়ায় পুলিশি বর্বরতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে ব্যবহার করেছেন নিজের চুল। চুলের সাজে তিনি ফুটিয়ে তুলেছিলেন ছাত্রদের উপর পুলিশের অত্যাচারের দৃশ্য। তেমনই আমেরিকায় গর্ভপাত বিরোধী আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে সৃজনশীলতার মধ্যে দিয়ে ফুটিয়ে তুলেছেন নারী দেহ থেকে রক্তক্ষরণ হওয়ার মুহূর্ত। এ ছাড়াও বর্ণ বৈষম্য, ‘মি টু’ আন্দোলন, নারীদের যৌন হেনস্তার মতো নানা বিষয় তিনি ফুটিয়ে তুলেছেন নিজের চুলেই।
ইতিমধ্যেই গোটা বিশ্বে বহু মানুষ সাধুবাদ জানিয়েছেন তার এই প্রয়াসকে। সামাজিক মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে তার ফলোয়ারের সংখ্যা ৫ লাখ। সম্প্রতি ‘লাভ অ্যান্ড জাস্টিস’ নামে একটি বইও প্রকাশ করেছেন তিনি। এই বইতে নিজের রাজনৈতিক বোধ সম্পর্কে লিখেছেন। ইতিমধ্যেই দেশ বিদেশের একাধিক পুরস্কারেও ভূষিত হয়েছেন লেটিটিয়া।
সামাজিক অন্যায়ের বিরুদ্ধে বরাবরই রুখে দাঁড়িয়েছেন শিল্পীরা। দেশ-কাল নির্বিশেষে অসাম্য ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে শিল্পীরা প্রতিবাদের ভাষা হিসাবে কখনও বেছে নিয়েছেন কবিতা, কখনও গান, কখনও বা চিত্রকলা।
(সূত্র: আনন্দবাজার)
(ঢাকাটাইমস/০৯এপ্রিল/আরআর)

মন্তব্য করুন