চাঁদপুরে প্রথম হলুদ ড্রাগন চাষে সফল হেলাল

শওকত আলী, চাঁদপুর
 | প্রকাশিত : ১০ জুন ২০২২, ১৫:৫২

চাঁদপুর শহরতলীর শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নের শাহাতলীতে পরিত্যক্ত একটি ইটভাটায় ২০২০ সালে ফ্রুটস ভ্যালি এগ্রো প্রকল্পটি গড়ে তোলা হয়। শহরতলীর যেস্থানে এ প্রকল্পটি গড়ে তোলা হয় তার নিটকবর্তী স্থানের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে ডাকাতিয়া নদী। নদীর কুলবর্তী স্থান ও এখানকার আবহাওয়া এ ফল চাষের জন্য সহায়ক হয়। ফলে খুব অল্প সময়ে ফ্রুটস ভ্যালি এগ্রো প্রকল্পটি তার লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছতে পেরেছে।

সাংবাদিক হেলাল উদ্দিন জানান, এখানে চাষাবাদ করা হলুদ ড্রাগন ফলটি অনেক বেশি মিষ্টি ও রসালো। এর পুষ্টিগুণ অন্য সব ড্রাগনের তুলনায় অনেক বেশি। হলুদ ড্রাগন এই দেশের চাষিদের মুখে হাসি ফোটাবে। এই জাত হবে ভবিষ্যতে বাংলাদেশে সবচেয়ে লাভজনক জাত।

শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ৪৯ প্রজাতির বিদেশি উচ্চমূল্যের ফলের আবাদ এখানে করা হয়েছে। অধিকাংশ জাতই বিদেশে উচ্চমূল্যের ফল হিসেবে খ্যাত এবং এ দেশের মাটি ও আবহাওয়ায় সম্পূর্ণ নতুন জাত। এর মধ্যে একটি খুবই দুর্লভ জাতের হলুদ ড্রাগন, যা বিশ্বে ‘কুইন অব ড্রাগন’ হিসেবে খ্যাত। বাজারে প্রচলিত হলুদ রঙের ড্রাগনের সঙ্গে এর মিল নেই। স্বাদ ও গন্ধে অতুলনীয়।

পরীক্ষামূলকভাবে সম্পূর্ণ অর্গানিক পদ্ধতিতে বিভিন্ন প্রজাতির ফলের চাষাবাদ করে ইতোমধ্যে চমক লাগিয়েছেন সাংবাদিক হেলাল উদ্দিন। তবে এবার তিনি এই প্রকল্পে দুর্লভ হলুদ ড্রাগন ফল চাষেও চমক দেখালেন।

চাঁদপুরে এই প্রথম বিশ্বখ্যাত দুর্লভ হলুদ ড্রাগন ফলের সফল ফলন হয়েছে ফ্রুটস ভ্যালি এগ্রো প্রকল্পের মাটিতে। ফ্রুটস ভ্যালি এগ্রো গড়ে তোলেন দেশের প্রখ্যাত সাংবাদিক এএমএম হেলাল উদ্দিন।

এ প্রতিষ্ঠানটি শুরুর পর থেকেই পরীক্ষামূলকভাবে সম্পূর্ণ অর্গানিক পদ্ধতিতে একের পর এক বিভিন্ন প্রজাতির ফলের চাষাবাদ করে ইতোমধ্যে চমক লাগিয়েছেন তিনি। এতে করে তার এ ফ্রুটস ভ্যালি এগ্রো প্রকল্পের সাফল্যতাও পেয়েছেন তিনি।

এবিষয়ে উদ্যোক্তা সাংবাদিক হেলাল উদ্দিন বলেন, চাঁদপুর সদর উপজেলার শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নের শাহতলীতে পরিত্যক্ত একটি ইটভাটায় ২০২০ সালে ফ্রুটস ভ্যালি এগ্রো গড়ে তোলা হয়। শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ৪৯ প্রজাতির বিদেশী উচ্চ মূল্যের ফলের আবাদ করা হয়েছে। অধিকাংশ জাতই বিদেশে উচ্চ মূল্যের ফল হিসেবে খ্যাত এবং এদেশের মাটি ও আবহাওয়ায় সম্পূর্ণ নতুন জাত।

আইসিস ড্রাগনের গাছ তিন বছরে পরিপূর্ণতা পেলে এককেজি ওজনে ছাড়িয়ে যাবে। দেশের মাটিতে বিদেশি আর ফলের আবাদ করে তাক লাগাতে চাই।

সহকারী ম্যানেজার সোহান চৌধুরী বলেন, বানিজ্যিকভাবে ফ্রুটস ভ্যালি এগ্রো প্রকল্পে ৬টি ভিন্ন জাতের ড্রাগন ফলের আবাদ করা হয়েছে। বিভিন্ন পোকা মাকড় থেকে রক্ষা করতে সার্বক্ষনিক ড্রাগন গাছে ব্যাপকভাবে পরিচর্যা করতে হয়, সঠিক নিয়মে।

ফ্রুটস ভ্যালি এগ্রোতে ঘুরতে আসা রিয়াদ, ফেরদৌস ও শরীফুল ইসলাম বলেন, নতুন জাতের দুর্লভ হলুদ ড্রাগন ফল অতি অনাশে দর্র্শনার্থীদের নজর কেড়েছে। যার স্বাদ অন্য ড্রাগনের চাইতে ভিন্ন বলে আমাদের ধারণা করা হয়েছে। বাংলাদেশে এই নতুন জাতের ড্রাগন চাষাবাদ করে উদ্যোক্তারা বিল্পব ঘটাতে পারবে।

চাঁদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. জালাল উদ্দিন বলেন, বিদেশি এই ড্রাগন ফলটি বিগত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশে আবাদ হচ্ছে। বানিজ্যিকভাবে কৃষক চাষাবাদ করছেন। এ ছাড়াও ব্যক্তি উদ্যোগেও অনেকেই এ জাতের ড্রাগন আবাদ শুরু করেছেন। তবে এর মধ্যে হলুদ ড্রাগন এবার সাড়া ফেলেছে। কৃষক এবং ব্যক্তি পর্যায়ে এই ফলটিকে জনপ্রিয় করতে কৃষকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানালেন এই কৃষিবিদ।

(ঢাকাটাইমস/১০জুন/এসএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :