প্রবাসীর বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অনশন, কলেজছাত্রীকে মারধরের অভিযোগ

মাদারীপুরের কালকিনিতে বিয়ের দাবিতে প্রবাসীর বাড়িতে অনশনরত অবস্থায় এক কলেজছাত্রীকে মারধরে করে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে ছেলেপক্ষের লোকজনের নির্যাতন থেকে রক্ষা পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী ওই কলেজছাত্রী।
বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার শিকারমঙ্গল এলাকার উত্তর শিকারমঙ্গল গ্রামের ২নং ওয়ার্ডের বেপারী বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
সরেজমিন ও ভুক্তভোগীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কালকিনি উপজেলার পূর্ব এনায়েতনগর এলাকার মোহরুদ্দিরচর গ্রামের এক কলেজছাত্রীর সঙ্গে উত্তর শিকার মঙ্গলগ্রামের মনসুর বেপারী প্রবাসী ছেলে রেজাউল করিম বেপারীর দীর্ঘ ১০ বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছে। রেজাউল বেপারী একাধিকবার ওই কলেজছাত্রীকে বিয়ের আশ্বাস দিয়েও রহস্যজনক কারণে বিয়ে করতে অস্বীকার করে। পরে কোনো উপায় না পেয়ে ওই কলেজছাত্রী বিয়ের দাবিতে রেজাউল করিমের বাড়িতে অনশন করেন। এ সময় কলেজছাত্রীকে অনশনরত অবস্থায় রেজাউল করিমের পরিবারের লোকজন বেদম মারধর করে রক্তাক্ত অবস্থায় ঘর থেকে টেনেহিঁচড়ে বেড় করে দেওয়ার চেষ্টা চালায়। পরে এ নির্যাতনের ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য স্থানীয় প্রভাবশালী কামরুজ্জামান তুহিনসহ কয়েকজন মিলে অপচেষ্টা চালায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন বলেন, কামরুজ্জামান তুহিন ওই বাড়িতে উপস্থিত হওয়ার পরই অনশনরত কলেজছাত্রীকে বাড়ি থেকে জোর পূর্বক বের করে দেওয়ার জন্য তার ওপর নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে যায়। তুহিন ছেলে পক্ষের আত্মীয় হয়।
অনশনরত নির্যাতিত ছাত্রী সাংবাদিকদের অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার সঙ্গে রেজাউলের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সে আমাকে বিয়ের আশ্বাস দিলে তাই আমি তার বাড়িত উঠেছি। কিন্তু রেজাউলের পরিবার আমাকে মেনে নেবে না বিধায় আমাকে মেরে রক্তাক্ত করেছে। রেজাউলের পরিবার তুহিনসহ বেশ কয়েকজনকে বাড়িতে ডেকে এনে বাড়ি থেকে চলে যেতে বাধ্য করার জন্য খুব চাপাচাপি করছে। রেজাউল আমাকে বিয়ে করবে বলে আমাকে দিয়ে মার্কেট পর্যন্ত করিয়েছে। আমাকে রেজাউল বিয়ে না করলে আমি আত্মহত্যা করব।’
তবে কামরুজ্জামান তুহিন বলেন, ‘আমি এসেছিলাম বিষয়টি আপস মীমাংশা করার জন্য। মারধরের বিষয় আমি জানি না।’অভিযুক্ত রেজাউল করিমের বাবা মনসুর বেপারী বলেন, ‘আমরা তাকে মারিনি। সব অভিযোগ মিথ্যা।’
এ ব্যাপারে কালকিনি থানার ওসি মো. শামীম হোসাইন বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
(ঢাকাটাইমস/১৩অক্টোবর/এআর)

মন্তব্য করুন