গাঁজা সেবনের খবর বান্ধবী জেনে গেছে তাই বিশ্ববিদ্যালয় রণক্ষেত্র?

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের দুপক্ষের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া এবং সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৪ জন আহত হয়েছেন। ভাঙচুর করা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা শহীদ আব্দুস সালাম হলে। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ থেকে পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।

বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টা থেকে দফায় দফায় এ ঘটনা ঘটে। পরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

আহতদের মধ্যে প্রলেক্স বড়ুয়া ও স্বাধীন নামের দুই শিক্ষার্থীকে রাত সোয়া ১টার দিকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন তাদের সহপাঠিরা। পরে ভোরের কোনো একসময় তারা হাসপাতাল থেকে চলে যান বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে।

একাধিক সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা শহীদ আব্দুস সালাম হলের গণরুমে (১০৪ নং কক্ষ) গাঁজা সেবন করে বিশ্ববিদ্যালয় সমাজ কর্ম বিভাগের ২০২০-২১ বর্ষের শিক্ষার্থী সৌরভ সাহা। গাঁজা সেবনের খবর বান্ধবী জানতে পারায় ক্ষিপ্ত হন সৌরভ। বান্ধবীকে এ তথ্য জানানোর ঘটনায় সন্দেহ করে একই বর্ষের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী স্বাধীন আহমেদকে ক্যাম্পাসের গাছ থেকে ডাব খাওয়ার কথা বলে হল থেকে ডেকে ত্রি-ধর্মী উপাসনালয়ে নিয়ে যান। পরে সৌরভ সেখানে স্বাধীনকে মারধর করেন।

বিষয়টি দেখতে পেয়ে কয়েকজন এগিয়ে গেলে তাদের ওপর চড়াও হন সৌরভ ও তার লোকজন। ঘটনাটি মুহুর্ত্বে ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে সৌরভ ও স্বাধীন গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া এবং সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থলে পৌঁছে উভয় পক্ষকে শান্ত করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে তাদের হলে পাঠিয়ে দিলে ভেতরে গিয়ে তারা সালাম হলের দরজায় ভাঙচুর করে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর বলেন, রাতে দুপক্ষের মধ্যে মারামারির খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করি। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ থেকে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

কমিটিকে আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া হলে ভাঙচুরের ঘটনায় ভাসা শহীদ আব্দুস সালাম হলের পক্ষ থেকে আরো একটি তদন্ত কমিটি ঘটন করা হয়েছে।

(ঢাকা টাইমস/০৩নভেম্বর/এসএম)