স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে স্মার্ট পাঠদান অপরিহার্য: মোস্তাফা জব্বার
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে স্মার্ট পাঠদান অপরিহার্য বলে মন্তব্য করেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে সময়োপযোগী কারিকুলাম প্রণয়নের মাধ্যমে স্মার্ট পাঠদান পদ্ধতি অপরিহার্য।
শুক্রবার রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
যুক্তরাজ্যের নটিংহাম ট্রেন্ট বিশ্ববিদ্যালয় ও বুয়েটের সহযোগিতায় জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত ইনক্লুসিভ হাইয়ার এডুকেশন: বাংলাদেশ কনটেক্সট শীর্ষক দুদিন ব্যাপী আন্তর্জাতিক কর্মশালার উদ্বোধনী করেন মন্ত্রী।
শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরের পাশাপাশি ডিজিটাল বৈষম্য দূর করার লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে জানিয়ে তিনি বলেন, একাডেমি ও ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে সমন্বয়ের মাধ্যমে একটি কার্যকর ডিজিটাল দক্ষতা সম্পন্ন জাতি গড়ে তুলতে হবে। এজন্য ইউজিসি ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, অতীতের তিনটি শিল্প বিপ্লবে শরীক হতে না পেরে এই দেশের মানুষ প্রযুক্তিতে অনেক পিছিয়ে আছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তার পাঁচ বছরের শাসনামলে দেশে ইন্টারনেট চালুসহ যুগান্তকারি বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে তৃতীয় শিল্প বিপ্লবে বাংলাদেশকে শরীক করার প্রচেষ্টা গ্রহণ করেন। এরই ধারাবাহিকতায় ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে গত ১৪ বছরে বাংলাদেশকে পঞ্চম শিল্প বিপ্লবে নেতৃত্বের যোগ্যতায় উপনীত করেছেন।
দেশের ৬৫০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ডিজিটাল কনটেন্টে পাঠ প্রদানের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে তিনি বলেন, পাশ্ববর্তী স্কুলের শিক্ষার্থীরাও ডিজিটাল কনটেন্টে পাঠ গ্রহণের জন্য ছুটে আসছে এসব স্কুলে।
করোনাকালে ইন্টারনেটের মাধ্যমে শিক্ষা বিস্তারের চিত্র তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ইন্টারনেট ছাড়া মানুষের স্বাভাবিক জীবনধারা এখন অকল্পনীয়। ২০০৮ সালে দেশে সাড়ে সাত জিবিপিএস ইন্টারনেট ব্যবহৃত হতো। বর্তমানে তা ৩৮৪০ জিবিপিএসে উপনীত হয়েছে।
এসময় বক্তব্য দেন, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো: নুরুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বুয়েটের উপাচার্য প্রফেসর ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার, যুক্তরাজ্যের নটিংহাম ট্রেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটিং এন্ড ইনফরমেশন রিসার্স সেন্টারের পরিচালক প্রফেসর ডেভিড জে ব্রাউন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য প্রফেসর বিশ্বজিৎ চন্দ্র এবং জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর রাশেদা আক্তার।
(ঢাকাটাইমস/০৬জানুয়ারি/জেএ/এসএম)