কুমিল্লায় হত্যা মামলায় যুবকের মৃত্যুদণ্ড
কুমিল্লার দেবিদ্বারে আকামা নিয়ে বিরোধের জেরে পূর্বপরিকল্পিতভাবে আনোয়ারা বেগমকে মারপিটসহ বালিশ দিয়ে চাপা দিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার দায়ে আল-আমিন নামে এক যুবককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন কুমিল্লার আদালত।
বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় কুমিল্লার বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক জাহাঙ্গীর হোসেন এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আল আমিন উপজেলার ভিংলাবাড়ি এলাকার মৃত সুজাত আলীর ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, সৌদি আরবে আকামা না পেয়ে আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ২০১০ সালের ৩ মার্চ দিবাগত মধ্য রাতে আনোয়ারা বেগমকে মারধর করে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে। এ ব্যাপারে নিহতের মেয়ে মোছা. উম্মে সালমা খাতুন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে পরের দিন দেবিদ্বার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পরে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. আনোয়ার উল্লাহ তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামি আল-আমিনকে গ্রেপ্তার করে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করলে আল-আমিন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। পরে তদন্তকারী কর্মকর্তা ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন করে একই উপজেলার ভিংলাবাড়ির সুলতান আহমেদের ছেলে আসামি মো. নজরুল ইসলাম, ডা. আ. সামাদের ছেলে আসামি মোস্তাফিজুর রহমান, মৃত সুজাত আলীর ছেলে আসামি সুলতান আহমেদ ও সাজু মিয়ার ছেলে আসামি আল-আমিনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।পরে আদালত দীর্ঘ সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে রায় দেয়। এতে আসামি আল-আমিনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে মৃত্যুদণ্ড ও সেইসাথে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং আসামি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন।
উল্লেখ্য, মামলা চলাকালীন সময়ে আসামি মো. নজরুল ইসলাম ও সুলতান আহমেদ মৃত্যুবরণ করায় তাদেরকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি প্রদান করেন। আদালতে রায় প্রদানের সময় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আল-আমিন পলাতক ছিল।
এ রায়ে ঘটনার সাথে জড়িত প্রধান আসামি মো. মোস্তাফিজুর রহমানকে বিজ্ঞ আদালত বেকসুর খালাস প্রদান করায় অসন্তোষ প্রকাশ করে অভিযোগকারিনী মোছা. উম্মে সালমা খাতুন কান্নাজড়িত কণ্ঠে চিৎকার করে বলেন, রায়ের কপি হাতে পেলে শিগগিরই উচ্চ আদালতে আপিল করবো।
(ঢাকা টাইমস/১৬মে/প্রতিনিধি/এসএ)