এখন, এই মুহূর্তে দেশে ফিরুন, তারেক রহমানকে ৫ আগস্ট এই আর্জি জানিয়েছিলেন মির্জা ফখরুল! (ভিডিও)

‘এখনই, এই মুহূর্তেই আপনি দেশে ফিরুন। আর এক মুহূর্তও দেরি করবেন না। বাংলাদেশে আপনাকে ও আপনার নেতৃত্ব খুব প্রয়োজন’। গত ৫ আগস্ট সন্ধ্যায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে এভাবেই আর্জি জানিয়েছিলেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইমলাম আলমগীর।
ঢাকা টাইমস নিশ্চিত হয়েছে, যুক্তরাজ্যের লন্ডনে অবস্থানরত তারেক রহমানের সঙ্গে মির্জা ফখরুল গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে স্কাইপেতে কথা বলার সময় এই আর্জি জানান। জবাবে তারেক রহমান সরাসরি কোনো কিছু বলেননি। শুধু মুচকি-মুচকি হেসেছেন।
এসময় ঢাকার সাবেক মেয়র ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য মির্জা আব্বাস উপস্থিত ছিলেন। তিনিও মির্জা ফখরুলের আর্জিতে সম্মতি দেন এবং একই অনুরোধ জানান বলে জানতে পেরেছে ঢাকা টাইমস।
শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পরপরই দেশে ফিরে আসাটা ছিল তারেক রহমানের মস্ত বড় সুযোগ। বিএনপি নেতা-কর্মীতো বটেই, দেশের অনেকেও সেটা মনে করেন। সরকারবিহীন ওই মুহূর্তে টগবগে, চনমনে ও ফুরফুরে মেজাজে থাকা বিএনপি নেতা, কর্মী, সমর্থকদের আবেগের, ভালোবাসার ও ভরসার স্থল তারেক রহমানের দেশে ঢুকে পড়ার মাধ্যমে যে জোয়ার সৃষ্টি হতো তা উপেক্ষা করে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব ছিল না— এমনটাই মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
যদিও একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা ও ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় আদালত তারেক রহমানকে সাজা দিয়েছে। যে মামলাকে বিএনপি বরাবরই বানোয়াট, মিথ্যা বলে আসছে গোড়া থেকেই।
ঢাকা টাইমস কথা বলেছিল বিএনপির একাধিক শীর্ষ নেতার সঙ্গে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তারা বলেছেন, তারেক রহমান যদি সরকার পতনের পরপরই দেশে ফিরে আত্মসমর্পণ করে কারাগারে যেতেন ও জামিন চাইতেন তাহলে তাকে আটকে রাখার কোনো সুযোগই ছিল না। তারেক রহমান আগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে দেশে ফিরলে রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিএনপির জন্য বেশি অনুকূল হতো, এমন একটি ধারণা দলটির অনেকের আছে।
ঢাকা টাইমস কথা বলেছে বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামালের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘তারেক রহমানের বিরুদ্ধে বানোয়াট সাজা দেওয়া হয়েছে। তবে তিনি যথাযথ আইনি প্রক্রিয়াই অনুসরণ করবেন। কারণ তিনি আইনের অতি শ্রদ্ধাশীল।’
বিএনপির অন্যতম ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন এক প্রশ্নের উত্তরে ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘আমরা সম্মতির অপেক্ষায় আছি। তারেক রহমান সম্মতি দিলেই তার বিরুদ্ধে হওয়া মিথ্যা সাজা প্রত্যাহারের আবেদন করা হবে।’
কিন্তু কেন দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের অনুরোধ এড়ালেন তারেক রহমান? কেন শেখ হাসিনার পতনের পরপরই দেশে ফিরলেন না? কবেই-বা ফিরবেন? এমন নানা প্রশ্ন প্রতিদিনই ঘুরছে চারিদিকে। নানা কৌতূহল।
তবে কি তারেক রহমান কোনো গ্রিন সিগন্যাল আশা করেছিলেন? তার দেশে ফেরার বিষয়ে সরকারের ইতিবাচক পদক্ষেপ থাকবে এমন কিছু কি চেয়েছিলেন? বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যাননের ঘনিষ্ঠ সূত্র ঢাকা টাইমসকে জানাচ্ছে, তারা এ বিষয়ে তাড়াহুড়া করার পক্ষে নন। দেখে, বুঝে ও শুনে এ বিষয়ে তারেক রহমানই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।
(ঢাকাটাইমস/২৮অক্টোবর/এআরডি)

মন্তব্য করুন